বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়
৩৯

হইল এবং নিকায়সমূহ (দীঘ, মজ্‌ঝিম, সংযুক্ত, অঙ্গুত্তর ও খুদ্দক) সংগৃহীত হইল। ইহারই নাম ‘সূত্র পিটক’।

 তারপরে পূর্ব্ব প্রকারেই স্থবির অনুরুদ্ধকে ধর্ম্মাসনে স্থাপন করিয়া ভিক্ষুগণ ধর্ম্মসঙ্গণি, বিভঙ্গ, কথাবথ্‌থু, পুগ্‌গল, পঞ্‌ঞত্তি যমক ও পট্‌ঠান আবৃত্তি করিয়া অভিধর্ম্ম পিটক সংগ্রহ করিলেন।

 মহাপরুষ বুদ্ধের পরিনির্ব্বাণ লাভের পরে তাঁহার প্রচারিত বিনয় ও সূত্রই বৌদ্ধগণের শাস্তা হইল। এই ধর্ম্ম ধীরে ধীরে প্রচারিত হইতে লাগিল। ইহার শতবর্ষ পরে বৈশালীর ভিক্ষুগণ দশটি নূতন অধিকার পাইবার জন্য আন্দোলন আরম্ভ করেন। ভিক্ষুরা স্বর্ণ ও রৌপ্য দান গ্রহণ করিতে পারিবেন, ইহা ঐ দশাধিকারের অন্যতম। এই বিষয় লইয়া বৈশালীর ভিক্ষুরা একমত হইতে পারেন নাই। ভিক্ষু কাকন্দকের পত্র যশ ইহার প্রতিবাদ করিলেন। এই বিষয়ের মীমাংসার নিমিত্ত তিনি বৈশালীতে এক মহাসমিতির আহ্বান করেন। তিনি পশ্চিম ভারত, অবন্তী এবং দক্ষিণ ভারতের ভিক্ষুগণ সমীপে দূত পাঠাইয়া জানাইলেন—“মাননীয় ভিক্ষুগণ, আপনারা এই বিষয়ের আইনতঃ মীমাংসা করিবার জন্য এখানে আগমন করুন। নচেৎ যাহা ধর্ম্ম নহে তাহাই প্রচারিত হইবে, ধর্ম্মই অবজ্ঞাত হইবে। যাহা বিনয় নহে তাহাই প্রচারিত হইবে, বিনয় অবজ্ঞাত হইবে।”

 বৈশালীর ভিক্ষুগণ যশের এই আন্দোলন জানিতে পারিয়া তাঁহারাও পূর্ব্বদেশীয় সমস্ত ভিক্ষুকে স্বদলে আনিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এইরূপে বৌদ্ধদের মধ্যে দুইটি দল স্থাপিত হইল।

 বৈশালী নগরে যখন ভিক্ষুমণ্ডলী মহাসভায় সমবেত হইলেন তখন প্রসিদ্ধ স্থবির রেবত তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,—“মাননীয় সঙ্ঘ আমার কথা শ্রবণ করুন,—কয়টি নিয়মের বৈধতা সঙ্ঘের আলোচ্য, এযাবৎ যত বক্তৃতা শুনিলাম তাহাতে বক্তারা আলোচ্য বিষয় সম্বন্ধে কোন কথা বলেন নাই, কেবল অবান্তর বাক্যই