ব্যবসায়-পরিচালন । ゲ○ রেজিষ্টারী দলিলেব নকল পাওয়া যায়, কিন্তু ব্যবসায়ীর আফিসের পত্রের নকল পাওয়া যায় না । সুতরাং অতি সাবধানে চিঠির বাহিতে জমা করিয়া লেটার ক্লিপো রাখা উচিত। উত্তর দেওয়া হইলে বা অর্ডার মত জিনিস পাঠান হইলে ফাইলে তুলিয়া রাখা উচিত। এবং ফাইলও গুপ্তভাবে রাখা উচিত। চিঠিতে ব্যবসায়ের অনেক গুপ্ত তত্ব থাকে, তাঙ্গা প্রকাশ হইলে ক্ষতি হইতে পারে। পত্রের কাগজ প্রভৃতির সন্ত্রান্তত দ্বারা ব্যবসায়ীর সন্ত্রম প্ৰকাশ পায় “আগু দর্শনধারী পিছু গুণবিচারি” অতএব ভাল কাগজে ভাল রকম লেটার হেড়া ছাপাইয়া চিঠি লিখা উচিত। পত্রে বর্ণাশুদ্ধি থাকা উচিত নহে, থাকিলে তাহাতে ব্যবসায়ীর সন্ত্রম নষ্ট করিবে । লেখা গুলি সুন্দর হওয়া আবশ্যক। পত্রের সন্ত্রান্ততা রক্ষার জন্য চিঠির সঙ্গে সংলগ্ন অতিরিক্ত কাগজ দেওয়ার রীতি আছে। যাহাদের সঙ্গে সৰ্ব্বদা চিঠি পত্ৰ লিখা চল আছে, তাদের নিকটে চিঠিতে ইহা দেওয়া আবশ্যক মনে করি না । পত্রের রেজিষ্ট্ৰীবাহ রাখা উচিত। তাহাতে ব্যবসায়ের আকার এবং রকম অনুসারে নকল রাখা ব্যয় বাহুল্য মনে করিলে অন্ততঃ নম্বর তারিখ বিষয়ের চুম্বক এবং নাম লিখিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য। বিশেষ আবশ্যকীর চিঠির নকল রাখিতে হইবে। ষ্টাইলোগ্ৰফিক কলম দ্বারা নকল রাখা সহজ । মনোগত ভাব সম্পূর্ণরূপে প্ৰকাশ করিয়া জ্যামিতিক ভাষায় যথাসম্ভব ংক্ষেপে পত্ৰ লিখিবে । দীর্ঘ চিঠি পাঠক ও লিখক উভয়ের সময় নষ্ট করে । অনর্থক বাজে কথা লিখিবে না ; যথা :-(১) “বহুকাল যাবৎ আপনার মঙ্গল সম্বাদ না পাইয়া বড়ই চিন্তিত আছি।” (২) “আমরা ভাল আছি আপনাদের মঙ্গল লিখিয়া তুষ্ট রাখিবেন।” দ্বিতীয় বিষয়ট পরিত্যাগ সম্বন্ধে কাহারও কাহারও এই বলিয়া আপত্তি হইতে পারে যে, বন্ধুবান্ধবকে মঙ্গল সংবাদ না জানাইলে তাহাদিষকে চিন্তিত রাখা হইবে।