পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ব্যবসায়ী । মতে নিতান্ত পক্ষে যদি কোন বালক লেখাপড়ায় পারদর্শী না হয়, এমন কি ১৫২, ২০২২ টাকা বেতনের কেরাণীও হইতে না পারে, তাহা হইলে তাহাকে ব্যবসায়ে দেওয়া যাইতে পারে । কিন্তু ভগবানের কৃপায়। গভর্ণমেণ্ট এক্ষণে হিন্দুদিগকে চাকুরী দিতে সন্ধুচিত হইতেছেন। ইতাতেও যদি সকলের শিল্প, কৃষি ও ব্যবসায়ের দিকে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় তবেই মঙ্গল । বাস্তবিক পৃথিবীতে শিল্পে ও বাণিজ্যে যত নিপুণ লোকের আবশ্যক ক্ৰয়, রাজকাৰ্য্যে কখনও তত সংখ্যক নিপুণ লোকের আবশ্যক। তহঁতে পারে। না ; কারণ রাজার কার্য্য অধীনস্থ প্রজার সহিত, তাহাদিগকে বেশী সন্তুষ্ট করিবার দরকার নাই, কাবণ প্ৰতিযোগিতা নাই । বৈশ্যকাৰ্যো অসংখ্যা প্ৰতিযোগী এবং অসংখ্য প্ৰভু ; কাবণ প্ৰত্যেক গ্রাহককেই বিক্রয়ের সময় প্ৰভু ভাবিতে হয় । আমাদের দেশে বাণিজ্য কোন ও দিনই অপমানজনক বলিয়া বিবেচিত হয় নাই । ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয় ও বৈশ্য এই তিন শ্রেণীই সমাজেব স্তম্ভ ছিল । বৈশ্যের কার্য নিন্দনীয় বলিয়া মনু কিম্বা পুরাণকারগণ কখনও নিৰ্দেশ করেন নাই । তাহদের মতে বৈশ্যও দ্বিজাতি মধ্যে গণ্য । বৈশ্যের বেদ পাঠে অধিকার আছে, ব্রাহ্মণের পক্ষে ও অভাবের বেলায় বৈশ্লেখ্যর কাৰ্য্য অবলম্বনীয়। যে “বিশ” শব্দ হইতে বৈশ্য শব্দ উৎপন্ন, তাহা ও সভ্যতাবাচক । পরবর্তীকালে ব্যবসায়ীরা মহাজন, উত্তমাণ ও সাধু এই সকল নামে অভিহিত হইতেন ; ইহাতে ও ব্যবসায়ীদের সন্ত্রম সূচিত হইতেছে । বাণিজ্য ব্যতিরেকে ধনী চ ওয়া যায় না । শাস্ত্ৰে কোন কোন স্থলে বৈশ্য শব্দের স্থানে “ধনী” শব্দের ব্যবহার আছে । “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ” পুরাতন শাস্ত্রীয় কথা বলিয়া কেহ কেহ। ইহাকে অগ্ৰাহা করিতে পারেন ; কিন্তু বাণিজ্য না হইলে ঐশ্বৰ্য্য হয় না, তাহা আমেরিকা ও ইংলণ্ড প্ৰভৃতি দেশের অবস্তা আলোচনা করিলেই স্পষ্ট প্রমাণিত হয় | " ফলতঃ বাণিজাই অর্থশালী ভইবার প্রধান উপায় ।