পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So ব্যবসায়ী । অন্যায় বা অসাবধানত বশতঃ ক্ষতি হইলে তাহাদিগকে শাসন করিতে হয়, ভবিষ্যতে অধিকতর সাবধানতা অবলম্বনের জন্য তাজাদের নিকট হইতে ক্ষতি পূরণ লওয়াও সঙ্গত হইতে পারে, কিন্তু যে ক্ষেত্রে কৰ্ম্মচারীদিগের সাবধানতা সত্ত্বেও লোকসান হইয়া যায় বা স্বত্বাধিকারীর নিজের কাৰ্য্যদোষে ক্ষতি হয় সে স্থলে ধৈৰ্য্য অবলম্বন ব্যতীত উপায়ান্তর নাই । (ণ) ক্রোধহীনতা । পরিমিত ক্ৰোধ অত্যাবশ্যকীয়, তদভাবে নিজের পরিবারবর্গের বা ভূতাবর্গের শাসন হয় না । ক্রোধের সময় কোনও শাসন বা কাজ করিতে নাই, একটু অপেক্ষা করিয়া করা উচিত। ক্ষণরাগ ও অপরিমিত ক্ৰোধ অত্যন্ত অনিষ্টকারী। সবল অপেক্ষা দুৰ্ব্বলের প্রতি ক্ৰোধ অধিক জন্মে। পরিশ্রমী লোকের ক্ৰোধ অধিক হয় । বড় ব্যবসায়িগণ ক্ৰোধ নিজে প্ৰকাশ না করিয়া উপযুক্ত কৰ্ম্মচারীদের হস্তে শাসনের ভার দিতে পারেন । যেমন মাজিষ্ট্রেটগণ নিজের ক্রোধের কাজ করেন না, শাসনের ভার পুলিশের হস্তে Jठं श८ ।। (ত) বুদ্ধি । নীতি শাস্ত্ৰে কথিত আছে। “বুদ্ধিৰ্যস্ত বলং তস্য অবোধস্য কুতোবলম।” একথা ঠিক, কিন্তু যাহার বুদ্ধি যে পরিমাণই থাকুক এক দিকে বেশী চালনা করিলে অন্য দিকে অত্যন্ত কমিয়া যায়। এজন্যই গ্যায়শাস্ত্রের তীক্ষ বুদ্ধি বিশিষ্ট পণ্ডিতগণ সংসার বিষয়ে অতি বোকা হইয়া থাকেন। পূৰ্ব্বোক্ত গুণ গুলির সঠিত বুদ্ধি থাকিলে ভাল ব্যবসায়ী হইতে পারা যায়। ব্যবসায় কাৰ্য্যে নূতনত্ব এবং লোক সাধারণের সুবিধা, কিরূপে