পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ের উপাদান। “እ S (ঠ) মুলধন । (১) ব্যবসােনাহোপযোগী মূলধন । অল্প মূলধনে বড় ব্যবসায় করা যেমন অন্যায়, খুব বেশী মূলধনে ছোট ব্যবসায় করাও তেমন অন্যায়। পৃষ্ঠপোষাক ধনী থাকিলে অর্থাৎ আবশ্যকমত সুদে টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে অল্প মূলধনে তদপেক্ষা কিছু বড় ব্যবসায় করা যাইতে পারে। সুন্দ দিয়াও তাহাতে বেশী লাভ, কারণ টাকা ঘরে বসিয়া থাকে না, কাজও ঠেকে না । (২) মূলধন সনৎ গ্রহেৰুৱা উটপাৰয় । সৎ, অভিজ্ঞ ও কৰ্ম্মঠ লোকের মূলধনের অভাব হয় না, যে ধনীর নিকটে যাইবে সেই বিশেষ আগ্রহের সহিত মূলধন দিবে, অতএব প্ৰথমে অতি কষ্টে ব্যবসায় শিখ, মূলধন লোক সাধিয়া দিবে। নূতন লোকের পক্ষে প্রথমতঃ যত অল্প মূলধনে সম্ভব ব্যবসায় আরম্ভ করা উচিত। তার পর লাভ বুঝিতে পারিলে বেশী মূলধন নিয়োগ করা কৰ্ত্তব্য। নূতন লোকের পক্ষে ধার করিয়া বা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া ব্যবসায় করা উচিৎ নহে । ব্যবসায়ে লোকসানের সম্ভাবনা হাতে তাতে, সুতরাং ধার করা মূলধন নিয়া ব্যবসায় করিয়া লোকসান হইলেই “ইতো নষ্ট স্ততোত্ৰষ্ট” হইতে হয়। তবে ব্যবসায় শিখিয়া আরম্ভ করিলে ঠেক পক্ষে কতক টাকা ধার করা যাইতে পারে । ভালরূপ শিক্ষা হইলে সমস্ত মূলধন ধার করিয়াও নিতে পাের। এই অবস্থায় sleeping partner S Gr, 93t যাইতে পারে, উভয়েরই সৎ লোক হওয়া আবশ্যক । অল্পসাহসী ও স্বার্থপর লোকের মূলধন নিয়া ব্যবসায় করা আপদজনক । (৩) মূলধন বদ্বন্ধন । অভ্যস্ত ব্যবসায়ে মূলধন বৃদ্ধি করিলে যদি বিক্রয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। তবে সেই ব্যবসায়েই মূলধন বৃদ্ধি করা