ব্যবসায়ে বাঙালী ף9אג শাক, পাতা, কচুসিদ্ধ, প্রভৃতি অখাদ্য-কুখাদ্য খাইয়াই কোনমতে তাহাদের দিন চলে। দেশে যদি প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপন্ন হয়, আর কিছু না হউক, অন্ততঃ সাধারণ লোকের এরূপ শোচনীয় অবস্থায় দিন যাপন করিতে হয় না। যে-দেশে এক বৎসর ধানের অজন্ম হইলে রেঙ্গুন হইতে একমাত্র কলিকাতা বন্দরেই ৯৩ লক্ষ বস্তা চাউল আমদানির প্রয়োজন হয়, সে দেশে স্তানিটার ইনস্পেক্টরের অপেক্ষ কৃষি-ইনস্পেক্টারের যে বেশী প্রয়োজন তাহা বলাই বাহুল্য। একমাত্র কৃষির আয়ের (Agricultural income ) উপর নির্ভর করিয়া যাহাদের খাজনা ট্যাক্স দিতে হয়, তাহাদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা না করিলে শাসকসম্প্রদায়ের এত মোটা মাহিনাই বা যোগাইবে কে ? ডিষ্ট্রক্ট বোর্ড দুঃস্ত লোকদের চিকিৎসার স্ববিধার জন্য জেলার মধ্যে স্থানে স্থানে দাতব্য চিকিৎসালয়-স্থাপনে অর্থসাহায্য করিয়া থাকেন। কিন্তু সাগুবার্লি পথাও যাহাদের জোটে না, তাহারা কি শুধু উক্ত ডাক্তারখানার এক শিশি “পটু মিক্সার” (Pot mixture ) ) থাইয়াই ব্যাধিহীন হইয়া যাইবে । যাহার দেহের ভিতরে ব্রণ, বাহ প্রলেপে তাহার আর কতটুকু উপকার হইবে ? খাদ্যই যাহাঁদের জুটে না, খান্ত পরীক্ষার জন্য তাহাদের আবার ইনস্পেক্টার । গৃহই নেই, তার আবার গৃহিণী | সাগু, বার্লি পথ্যটাও যাহাদের জোটে না, তাহাদের জন্য আবার ঔষধ-ব্যবস্থা ! প্রহসন আর কা'কে বলে ? আমাদের শাসন-তন্ত্রের ভড়ংই আছে, আসলে ভিতর ফাকা । যে দেশের সমুদয় রাজস্বেও শাসক-সম্প্রদায়ের উদর পূর্ণ হয় না, , তামাকের উপরও কর ধাৰ্য্য করিতে হয়, সেই অভিশপ্ত দেশের ততোধিক অভিশপ্ত প্রজাবৃন্দের অভাব-অভিযোগ আবেদন-নিবেদনের বুলি লইয়া মন্ত্রীদের দ্বারস্থ হওয়ার কি সার্থকতা আছে ? তাহার
পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৭৯
অবয়ব