পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) শিক্ষার্থীর প্রতি উপদেশের শেষ ভাগে গ্রন্থকার কছেন “ প্রথম শিক্ষার্থীর পক্ষে গ্রন্থ দেখিয়া সুর মিলান হইতে পারে না, কেননা তাহাতে সুরবোধের আবশ্যক হয় ”। তবে বিজ্ঞাপনোক্ত বাক্যটা কি রূপে মান্য করা যায়? সুর বোধ না হওয়া পৰ্য্যন্ত, শিক্ষক সাহায্য নিতান্তু আবশ্যক, যদি ইহা স্বীকৃত হইল, তবে সঙ্গীত শিক্ষার প্রথমে শিক্ষক সাহায্য অভাবেও সঙ্গীত শিক্ষা নিম্পন্ন হইতে পারে ইহা কি রূপে বিশ্বাস্য হয় ? যাহা হউক, যন্ত্রের সুর মিলান শিখিলে শিক্ষক উপাসনার শেষ হইবে,—সঙ্গীতের অণর আর সমুদয়, এই গ্রন্থ দ্বারা নিম্পন্ন হইবে, গ্রন্থকার এরূপ আশ্বাস প্রদান করিলেও উৎসাহিত হইতাম । কিন্তু তদ্বিপরীতে তিনি বিজ্ঞাপনের ১৫ । ১৬ পংক্তিতে যাহা কহেন, তাহার মৰ্ম্ম এই, সুচাৰু রূপে বাদনের কারণ, শিক্ষকের নিকট অঙ্গলি বিক্ষেপের কৌশল শিখিতে হইবে, ও তৎপরে উত্তম সঙ্গীতাচাৰ্য্যগণের সঙ্গীত শুনিতে হইবে, অর্থাৎ, শুনিয়া তদনুকরণ করিতে হইবে, ইহাই উদেশ্য । সঙ্গীতের, নৈপুণ্য ব্যঞ্জক স্থ ক্ষম কৌশলাদি, কেবল মাত্র দেখিয়া ও শুনিয়া, বিনা উপদেশে, আয়ত্ত করিতে পারে, এমন লোক অতি বিরল ; সঙ্গীত বিষয়ে সে ব্যক্তি শ্রীতিধর। কিন্তু গ্রন্থকারের গ্রন্থ সে রূপ লোকের নিমিত্ত নহে, পরিমিতবুদ্ধি সাধারণ সমাজের শিক্ষা বিধানার্থ বিরচিত হইয়াছে । সেরূপ অসামান্য ধীবৃত্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণের পক্ষে, গ্রন্থকারের গ্রন্থও অপ্রয়োজনীয় । অতএব, প্রথমতঃ মুরবোধের কারণ, দ্বিতীয়তঃ অঙ্গুলি বিক্ষেপের কৌশল শিক্ষার কারণ, তৃতীয়তঃ উত্তম সঙ্গীতাচাৰ্য্যগণের স ক্ষাভ শুনিয়া, পরিমিত বুদ্ধিযুক্ত লোকেরা, স্বয়ং তদনুকরণ না কল্পিতে পারিলে তাহার উপদেশ লাভের কারণও, শিক্ষকের জবশ্যক । যান্ত্রিক সঙ্গীত সম্বন্ধে এইরূপ, কাঙিক সঙ্গীতেশ্ন