ব্যায়াম শিক্ষ{–১ম ভাগ | $3 বেদন বোধ হয়, তবে সে বেদনার স্থানে জল সেচন করি, বার বা জল-পটী দিবার আবশ্যকতা নাই। ব্যায়ামে ক্ষান্ত দিলেই কিছু কাল পরে সে বেদন আপনিই যাইবে । জল-পটি প্রস্তুত করা অতি সহজ। ছিন্ন বস্ত্র (নেকড় ) দুই ভাজ করিয়া জলে ভিজাইয়া পীড়ার স্থান ঢাকিয় দিতে হইবে। যদি আঘাতের স্থানে অতিশয় বেদন হয়, তবে এক পোয় জলের সহিত ১ তোলা টিংচার আর্ণিকা মিশাইয়া, তদভাবে চারি অান ওজনে আফিঙ্গ, অৰ্দ্ধসের জলের সহিত্ত ভাল রূপে গুলিয়, সেই জলে পট ভিজাইয়া বেদন স্থানে দিলে, বেদন ক্রমে কমিয়া যাইবে। ঔষধ সৰ্ব্বদা পাওয়া কঠিন, কিন্তু জল, সেচন ও পটী করিয়া দেওয়া অতি সহজ । জলের প্রতি যেন অবিশ্বাস ও হতাদর করা না হয়। মনোযোগ-পূৰ্ব্বক জল সেচন ও পটী দিলে পীড়ার অনেক লাঘব হইবে। পটী যেন শুষ্ক না হয়, সৰ্ব্বদাই যেন শীতল জলে আদ্র থাকে। এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ করা প্রয়োজন। যদি ঐ সমস্ত বেদনার জন্য জর হয়, তৰে যথাশাস্ত্র লঘুপথ্য, (থৈ বা মুড়ি, শাও বা এরারুট বা বিস্কিট বা রুটী) ব্যবহার করা এবং শরীরকে বিশ্রাম দেণ্ডয়া উচিত। আরোগ্য না হওয়া পৰ্য্যন্ত অঙ্গ চালনা করা উচিত নহে। যদি মল বদ্ধ থাকে, তবে কাষ্টরঅইল অর্থাৎ রেড়ির তৈল সেবন করিয়া কোষ্ট্রপরিষ্কার করা আবশ্যক।
