পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
ব্রজবিলাস।

 আমি, এ যাত্রায়, শ্রীমান্ বিদ্যারত্ন খুড়র সঙ্গে রীতি মত বিচার করিতে প্রবৃত্ত নহি। যদি কোনও মুখআলগা লোক, অগ্র পশ্চাৎ না ভাবিয়া, অম্লান বদনে, বলিয়া বসেন, তবে তুমি ভয় পাইয়াছ। তাঁহার প্রতি আমাযর বক্তব্য এই, আমি বড় ডাঙপিটে, কোনও কারণে ভয় পাইবার ছেলে নই। উপযুক্ত ভাইপো, খুড়র সঙ্গে, বিচার করিতে পিছপাঁও হইবেন, যদি কেহ, ভুল ভ্রান্তিতেও, সেরূপ ভাবেন, তিনি যত বড় ধনী, যত বড় মানী, যত বড় বিদ্বান্, যত বড় বুদ্ধিমান্, যত বড় হাকিম, যত বড় আমলা, যত বড় তেঁদড়া, যত বেদড়া বেড় হউন না কেন, তাঁহার মনোহর গাল, বসরাই গোপাপের মত টুকটুকেই হউক, আর রামছাগলের মত চাঁপদাড়িতে সুসজ্জিত ও সুশোভিতই হউক, ঠাস ঠাস করিয়া, দশ বার জোড়া চড় মারিয়া, সেই বেআদবকে, চিরকালের জন্যে, দুরন্ত করিয়া দিব। ইহার জন্যে যদি, শ্রীমতী যশোহরহিন্দুধর্মরক্ষিণী সভা দেবীর সূক্ষ্ম বিচারে, ও অকাট্য ফয়তা অনুসারে, ক্রমান্বয়ে ছয় মাস, ফাঁসি যাইতে হয়, তাহাও মঞ্জর। আমি যে কেবল মুখে আক্ষালন করিতেছি, কেহ যেন তাহা না ভাবেন। ইতিপূর্ব্বে, শ্রীমান্ তর্কবাচস্পতি খুড়র সঙ্গে কেমন হুড়হুড়ি করেছি, তাহা কি আপনারা জানেন না, না কখনও শুনেন নাই। এ যাত্রায়, খুড়র কাছে দুই চারিটি প্রশ্ন করিব। ঐ সকল প্রশ্নের উত্তর পাইলে; রীতিমত বিচারে প্রবৃত্ত হইব। যদি উপেক্ষা করিয়া, অথবা ভয় পাইয়া, অথবা আর কোনও নিগুঢ় কারণের বশবর্ত্তী