পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

Yè) : ব্ৰজ-বার্তু। থাকে,কিন্তু মাত্ৰিগণ । এ মান্দরে দেখিতে পাইবেন যে,শ্ৰীকৃষ্ণের দক্ষিণ দিকে শ্ৰীমতী রাধারণা এবং বামপার্থে শ্ৰীমতী জাহ্নবা ঠাকুরাণী বিরাজমানা আছেন। ইহার গুঢ় রহস্য অনেকে জানেন না বলিয়া সংক্ষেপে জানাইতেছি যে, শ্ৰীগৌরীদাস পণ্ডিতের জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতা শ্ৰীসূৰ্য্যদাস পণ্ডিত মহাশয়ের কন্যা শ্ৰীমতী জাহ্নবাজী গোবৰ্দ্ধনতীৰ্থ হইতে বৃন্দাবনে আসিয়া যখন শ্ৰীগোবিন্দ, শ্ৰীমদনমোহন এবং শ্ৰীগোপীনাথজীকে দর্শন করেন তখন ঠাকুরের বাম পার্শ্বে প্রিয়াজী অর্থাৎ রাধারাণীর মূৰ্ত্তি না থাকায় অত্যন্ত দুঃখিতন্তঃকরণে শ্ৰীমধু পণ্ডিত মহাশয়ের সহিত ঐ সম্বন্ধে পরামর্শ করিয়া গৌড়দেশে চলিয়া যান এবং বনবিষ্ণুপুরের বীরহাম্বির রাজার নিকটে সবিশেষ বিবরণ জ্ঞাত করাইয়া তিনটি “রাধার” মূৰ্ত্তি প্রার্থনা করেন। স্বধৰ্ম্ম পরায়ণ হিন্দুকুলচুড়ামণি বীরহাম্বের রাজা তদনুযায়ী ভাস্করের দ্বারা তিনটী মূৰ্ত্তি প্ৰস্তুত করাইয়া শ্ৰীমতিজাহ্নবাজীকে সমৰ্পণ করেন। শ্ৰীমতী জাহ্ববাজী ঐ তিনটী মূৰ্ত্তি লইয়া স্বৰ্গীয় গোপীজনবল্লভ গোস্বামীর সহিত বৃন্দাবনে প্ৰত্যাগমন করিয়া একটী মূৰ্ত্তি শ্ৰীশ্ৰীগোবিন্দদেবাজীর বামপার্শ্বে এবং অপর একটীি শ্ৰীমদনমোহনজীর বামপাশ্বে স্থাপন করাইয়া অবশেষে আপনাকে সর্বসাধারণের নিকট ব্রজের এক অনঙ্গমঞ্জরী জানাই বার জন্য শ্ৰীশ্ৰীগোপীনাথজীর বামপার্শ্বে স্বয়ং বসিয়া প্রিয়াজীকে দক্ষিণ পার্থে স্থাপন করেন । ফান্তন মাসের শুক্লপক্ষের ত্ৰিয়োদশী তিথিতে শ্ৰীশ্ৰীগোপীনাথজীর “হোলী” বা দোলযাত্ৰ। ቑR¶ ዘ উল্লিখিত তিনটি মন্দির বৃন্দাবনধামের মধ্যে সর্বাপেক্ষা