পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করাইয়া ৰিপুল যশলাভ করিয়াছেন। এই নিকুঞ্জবন মধ্যে: প্ৰবেশ করিবার সময় বানরদিগের জন্য ছোলাভাজা লইয়া, যাইতে হয়। বনের ভিতর যে ললিতাকুণ্ড আছে প্ৰত্যেক । যাত্রী সংকল্পান্তে তাহার জল স্পর্শ করিয়া জীবন সার্থক করিবেন। শ্ৰীমতি রাধারণীর শ্ৰীপটিমুৰ্ত্তি দর্শন করিবার * সময় দুই আনা করিয়া ভেট দিতে হয় এবং প্রথানুযায়ী * ফুলশয্যা দিলে এক টাকা নয় আনা খরচ পড়িয়া থাকে । নিধুবনে বিশাখাকুণ্ড, সঙ্গীত বিশারদ তানসেনের গুরুদেৰ মহাত্মা হরিদাস স্বামীর সমাধি-স্থান এবং শ্ৰীভগবানের অনেক প্ৰকার লীলা-চিকু দেখিতে পাইবেন । কথিত আছে শ্ৰীকৃষ্ণের বংশী যখন চুরি হইয়াছিল, তখন শ্ৰীমতী রাখারাপী এই পবিত্ৰ বনেই রাজ-পরিচ্ছদে বিভূষিত হইয়া রাজ-ধৰ্ম্মমতে উহার বিচার করিয়াছিলেন । অতঃপর যাত্ৰিগণ । একদিবস “কেশীঘাটে” যাইয়া মস্তক - মুণ্ডন করতঃ স্বানান্তে-পিতৃ উদ্দেশে তর্পণ ও শ্রদ্ধাদি করিবেন এবং শাস্ত্রানুযায়ী ব্ৰাহ্মণকে রাজত, বস্ত্র ও গোদান করিবেন। শ্ৰীভগবান এই ঘাটে কেশী নামক দৈত্যকে বধ করিয়াছিলেন বলিয়া তদনুযায়ী কেশীঘাট নাম হইয়াছে। এই ঘাটে পিণ্ডদান করিলে গয়াধামে পিণ্ডদান তুল্য ফললাভ - হয় । তৎপরে যাত্ৰিগণ ! “বংশীবট” দর্শন করিবেন । শ্ৰীকৃষ্ণ এই স্থানে বংশী বাজাইয়া গোপীগণকে একত্ৰিত করতঃ “রাসলীলা” করিয়াছিলেন। অনন্তর ক্ৰমশঃ ধীরসমীর, যমুনা-পুলিন, জ্ঞানগুদরী, রাধাবাগ, চৌষট্টি মহান্তের অসমাধি-ক্ষেত্রে এবং ব্ৰহ্মকুণ্ড দর্শন করতঃ বরাবর শ্ৰীমদন