পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ব্ৰজ-বার্তা ) { আনা পয়সা পাণ্ডাজীর হস্তে দিয়া প্ৰফুল্লচিত্তে বিদায় গ্ৰহণ করিবেন । , শ্ৰীবৃন্দাবনের মধ্যে ঝুলনযাত্রা এবং অন্নকূট এই দুইটী ‘পৰ্বই সর্বপ্রধান । ঝুলনযাত্ৰা উপলক্ষে যাত্রীর সংখ্যা অধিক হয় এবং অন্নকূট যাত্রায় অধিকাংশ ভদ্রলোকদিগের সমাগম হইয়া থাকে। শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি হইতে ঝুলনযাত্ৰা আরম্ভ হইয়া পৌর্ণমাসী তিথিতে সমাপ্ত হয় এবং কাত্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে অন্নকূট যাত্রা হইয়া থাকে। ইহার পরদিন ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিবস মথুরাধামে যাইয়া বিশেষ সাবধানতার সহিত বিশ্রামঘাটে সুসান করিবেন। কারণ উক্ত দিবসে অত্যধিক জনতা হইয়া থাকে। ঝুলন ও অন্নকুট যাত্রার পরে অনেক প্ৰসিদ্ধ প্ৰসিদ্ধ মন্দিরে-রাইরাজা, সুবলবেশ, নৌকাখণ্ড এবং বনবিহারাদি লীলার দর্শন হইয়া থাকে । মন্দিরের কর্তৃপক্ষগণ ইহার খরচ পূরণ জন্য কেবল নবাগত যাত্ৰিদিগের নিকট হইতে এক আনা করিয়া ভেট স্বরূপ লইয়া,

  • iて卒a l

অধিকাংশ যাত্ৰী ঝুলনযাত্রার পর বেলবন, ভাণ্ডীরবন, মান-সরোবর, গিরিগোবৰ্দ্ধন রাধাশ্যামকুণ্ড, গোকুল, মহাবিন, বলদেবাজী প্রভূতি” আদি তীর্থস্থান গুলি দর্শন করিয়া স্বদেশ প্ৰত্যাগমন করেন এবং অন্যপক্ষে অনেক যাত্রী ব্ৰজ-চৌরাশীক্রোশ পরিভ্রমণ-কাৰ্য সমাধা করিয়া পরিশেষে স্বদেশ যাত্ৰা করিয়া থাকেন। পরিক্রমণ কালীন দ্বাদশবন ও দ্বাদশ উপ বন দর্শন করিতে হয়, সচরাচর লোকে ইহাকে ‘বন ভ্ৰমণ’