পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84 ኳ ব্ৰজ-বার্তা ৭. 确

  • $কাম্যবনে অনেক তীর্থ ও লীলাস্থলী আছে, তন্মধ্যে যেগুলি বিশেষ আবশ্যকীয় ও জ্ঞাতব্য বিষয় কেবল তাহাই উপরে লিখিত হইল”। কাম্যবান তীর্থে যান্ত্ৰিগণ দুই রাত্রি বাস করিয়া থাকেন। ।

কাম্যবনে দুই রাত্রি বাস করিয়া পরদিবস যাত্ৰিগণ । * বৃষভানু রাজার রাজধানী “বর্ষণগ্ৰাম” উদ্দেশে যাত্ৰা করিবেন। বর্ষণগ্রাম যাইবার সময় পথিমধ্যে প্ৰথম কাণ ছেদনকুণ্ড দশন করিতে হয়, এখানে ব্ৰজবাসীরা কাণের মাকড়া দান পাইয়া থাকেন। তৎপরে “কদম্বখণ্ডী” দেখিবেন, শ্ৰীকৃষ্ণ এই কেলীকদম্বহুশোভিত সুরম্য বনে শ্ৰীমতি রাধিকা ও সখীদিগের সহিত পাশা খেলিয়াছিলেন। কেহ কেহ এই বনকে “নাগাজীর কদম্বখণ্ডী’ বলিয়া থাকেন। ইহার পর রত্নকুণ্ড ও কৃষ্ণকুণ্ড হইয়া “আলতাপাহাড়ী” দশন করবেন। কথিত আছে শ্ৰীমতি রাধারাণী। এখানে চরণে আলতা পরিয়াছিলেন । এবং অদ্যাবধি পাথরের উপর আলতার রঙ্গের চিন্তু দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া এতদেশীয় লোকেরা ঐ রঞ্জিত প্ৰস্তরকে চিত্ৰবিচিত্ৰ শিলা কহিয়া থাকেন। তৎপরে “দেহকুণ্ড” যাইবেন । এই স্থানে শ্ৰীমতি রাধারাণী কোন ভিক্ষুক ব্ৰাহ্মণকে তাহার ভিক্ষা পুরণ জন্য আপন দেহ দান করায় শ্ৰীকৃষ্ণ ঐ ব্ৰাহ্মণকে শ্ৰীমতির দেহ পরিমিত স্বর্ণ দান দিয়া শ্ৰীমতির দেহদান ফেরত লয়েন এবং এই হেতু ব্ৰজবাসিগণ এখানে স্বর্ণ দান পাইয়া থাকেন। যাহা হউক যাত্ৰিগণ । ইহার পর বলদেবাজী ও নূপুর বৃক্ষ এবং গেদকুণ্ড দশন করিয়া বরাবর বর্ষাণাভিমুখে যাইবেন, এবং বর্ষাণগ্রামে পৌছিয়া তত্ৰস্থ বৃষভানু রাজার,