পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gwo : ব্ৰজ-বাৰ্থ। । তপোবন যাইখেন। এখানে তপোঘাট ও শ্ৰীসীতায়ামজীয় দশন করিতে হয়। এখান হইতে কিয়ন্দুর গমন করিলে “অক্ষয়বট” পাইবেন । অক্ষয়বটে ; আসিয়া অক্ষয়বিহারী দশন করতঃ বরাবর বস্ত্ৰহরণ বা চারঘাট যাইবেন । শ্ৰীকৃষ্ণপ্ৰেমাকাঙিক্ষণী গোপবালিকাগণ প্ৰত্যহ প্ৰত্যুষে এই ঘাটের উপর বস্ত্ৰাদি রাখিয়া উলঙ্গবেশে সুদান করতঃ কাত্যায়নী দেবীর পূজা করিতেন। একদা শ্ৰীকৃষ্ণ উহাদিগের বস্ত্ৰাদি হরণ করিয়া কোলীকদম্ব বৃক্ষোপরি আরোহণ করিলে গোপবালিকাগণ তাহদের কাত্যায়নী-পূজা সফলমনোরথ বিবেচনায় সকলেই হৃষ্টচিত্তে হস্তযুগলদ্বারা আপন আপনি লজ্জা নিবারণ পূর্বক শ্ৰীকৃষ্ণ সন্নিধানে যাইয়া অতি বিনীত বচনে বস্ত্ৰাদি চাহিয়া লইয়াছিলেন । এই কারণে ব্ৰজবাসিগণ এখানে বস্ত্ৰ দান পাইয়া থাকেন । শ্ৰীবৃন্দাবনধামে যে চীরঘাট আছে, উহার প্রকৃত নাম চেনঘাট। তৎপরে যাত্ৰিগণ কাত্যায়নীদেবী দশন করিয়া বরাবর “নন্দঘাট” যাইবেন । , চীরঘাট হইতে নন্দঘাট তিনক্রোশ ব্যবধান । কথিত আছে, কোন এক দ্বাদশী তিথির শেষ রাত্রে যখন শ্ৰীনন্দ মহারাজ ঐ ঘাটে সুদান করিতেছিলেন তখন শ্ৰীকৃষ্ণদশনাকাঙক্ষী বরুণদেব নিজ দূত দ্বারা নন্দজাকে বরুণালয়ে লইয়া যান । অন্তৰ্য্যামী ভগবান পিতার উদ্ধার কামনায় তৎক্ষণাৎ উক্ত ঘাটে যাইয়া জলে অবগাহন পূর্বক বরুণালয়ে গমন করতঃ বরুণদেবের বাসনা পূর্ণ করিয়া পিতাকে উদ্ধার করেন। এখানে ব্ৰজবাসিগণ রেশমী শীতবস্ত্ৰ বা শালের জোড়া দান। পাইয়া থাকেন। যাত্ৰিদিগকে এই স্থানে একরান্ত্রি বাস করিতে