পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ b- ] “কোলাঞ্চাৎ পঞ্চ শূদ্র বয়মপি নৃপতে কিঙ্করা ड्रश्झांभा' বলাইলেন। এই বাক্য শ্ৰবণ মাত্ৰেই মহারাজ আদিশূর। তঁহার যজ্ঞ কাৰ্য্যে সহায়তা কবিবার জন্য এবং তাহার অনুরোধী মত রাজা বীরসিংহ কর্তৃক পঞ্চ কায়স্থ-ক্ষত্ৰিয়ের পরিবর্ভে পঞ্চ শূদ্ৰ আসিয়াছেন জানিয়া তাহার জন্ম সফল হইল বলিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া আপনাকে চরিতার্থ মনে করিলেন । তিনি আরও ভাবিলেন যে র্তাহার রাজভবন শূদ্রাগমনে পবিত্ৰ হইল। আহা ! এই সকল কি চমৎকার কথা ! অস্পৃশ্য শূদ্ৰকে দেখিয়া ক্ষত্ৰিয় রাজা মন্তক অবনত করিলেন । দেবীবর বিজ্ঞতা প্ৰকাশ করিতে কষ্ট বোধ করেন নাই। তিনি পুনবায় লিখিলেন “উপবিষ্ট দ্বিজাঃ পঞ্চ তথৈব শূদ্ৰ পঞ্চকাঃ।” রাজার সভায় শূদ্ৰগণ উপবেশন না করিলে কি রাজসভার শোভা বৃদ্ধি পায় ? সাধারণ বুদ্ধিতে শূদ্রগণ রাজদ্বারের বহির্দেশে অবস্থানের যোগ্য। সেই শূদ্রগণ রাজা কর্তৃক সমাদৃত হইয়। রাজসভায় ব্রাহ্মণের পার্শ্বে স্থান পাইলেন। বলিহারী দেবীদ্বরের বুদ্ধি ! কলিকালে ঐ রূপ বুদ্ধিই হইয়া থাকে। দেবীবাব শাস্ত্ৰ পাঠ কবিলে নিশ্চয়ই অবগত থাকিতেন যে শুদ্রান্নং শূদ্র সম্পকিং শূদ্রেণৈব সহসনম্। শূদ্রাজ জ্ঞানাগমশচাপি জ্বলন্তমপি পাতয়েৎ ॥ ( পরাশর সংহিতা ) শ্বা শূদ্ৰাশ্চ শ্বপাকশেচন্ত্যপবিত্ৰাণি পাণ্ডব । (বৃহৎ গৌতম )