পাতা:ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ - দোম আন্তোনিও দো রোজারিও.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৷৵৹
ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ

by way of Dialogue, which the children frequenting the Schoole learned by heart.” Purchas His Pilgrimes, Vol. x, p. 205) ফাদার সোসাও যীশুট সম্প্রদায়ের লোক। শব্দকোষ বা ব্যাকরণ রচনা না করিলেও তিনি খ্রীষ্টধর্ম্ম-সম্বন্ধীয় যে পুস্তিকা অনুবাদ করিয়াছিলেন তাহার মধ্যে Catechism বা ধর্ম্মতত্ত্ব ছিল। অথচ ৮০ বৎসর পরে তাঁহার স্বসম্প্রদায়ের আর একজন বিজ্ঞ যাজক এই পুস্তকের কথা মোটেই জানিতেন না। দেখা যাইতেছে যে ১৫৯৯ হইতে ১৭৩৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত একাধিক খ্রীষ্টান প্রচারক এই জাতীয় পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন। যীশুট সম্প্রদায়ের যাজকেরা হয়ত আগুস্তিনের সম্প্রদায়-ভুক্ত আন্তোনিয়োর গ্রন্থের কথা জানিতেন না অথবা ঐ গ্রন্থ তাঁহাদের মনঃপূত হয় নাই, তাই তাঁহাদের চিঠিপত্রে আস্তোনিয়োর পুথির উল্লেখ নাই। এ বিষয়ে ফাদার আম্ব্রোসিয়োর বিবরণে সংশয়ের অবকাশ খুবই কম। ভূষণা ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে সমৃদ্ধ স্থান বলিয়া পরিচিত ছিল। বাঙ্গালা দেশে তখন প্রায় সর্ব্বদাই মগের উৎপাত হইত। ভূষণা যে তাহাদের উপদ্রব হইতে অব্যাহতি পায় নাই, তাহার প্রমাণ মুসলমান ঐতিহাসিকদের গ্রন্থে পাওয়া যায়। ১৬৬৩-৬৪ সালেও ভূষণার লোকেরা মগের অত্যাচারে উদ্বাস্তু হইয়াছিল। মগ ও ফিরিঙ্গিরা আক্রান্ত স্থানের লোকদিগকে ধরিয়া লইয়া গিয়া বিক্রয় করিত। সুতরাং ভূষণার জমিদার-পুত্রের ১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দে তাহাদের হাতে বন্দী হওয়া মোটেই অসম্ভব নহে। আম্ব্রোসিয়োর বিবরণে দুইটি অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ আছে। সেকালে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের খ্রীষ্টানেরা অলৌকিকে অবিশ্বাস করিতেন না। সুতরাং এই দুইটি ঘটনার উল্লেখ করিয়াছেন বলিয়া ফাদার আম্ব্রোসিয়োর বিবরণের সকল কথাই অবিশ্বাস্য বলিয়া অগ্রাহ্য করা সঙ্গত হইবে না। তিনি দোম আন্তোনিয়োর পুথি-সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, তাহাতে ঐ পুথি ভাওয়াল অঞ্চলে আগুস্তিনীয় মিশনারীদিগের মধ্যে তৎকালে সুপরিচিত ছিল বলিয়াই মনে হয়। বিশেষতঃ এভোরার পুথির শিরোনামা ও প্রস্তাবনায় দোম আন্তোনিয়োর নাম গ্রন্থকার-হিসাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হইয়াছে। সুতরাং মানুয়েল দা আসুম্পসাঁও এবং জর্জ দ্য আপ্রেজেন্তাসাঁও ও আন্তোনিয়োকেই এই পুথির লেখক বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বৎসরের মধ্যেই যীশুট ফাদারদিগের বই আন্তোনিয়োর নামে চলিয়া গিয়াছে ইহা সম্ভব বলিয়া মনে হয় না। বিশেষতঃ পুস্তকের ভাষা এবং বিষয়বস্তুর বিচার করিলেও গ্রন্থকার যে বাঙ্গালী ছিলেন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ থাকে না। অতএব দেখা যাইতেছে যে, সে যুগের বাঙ্গালা গদ্য-লেখকদিগের মধ্যে একমাত্র