পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৩ ] o: * "ঠা চার নিষিদ্ধ পথে পদ নিক্ষেপ করি, তৎক্ষণাৎ আমারদের হৃদয়ে আত্মগ্লানি-ৰূপ বজু আসিয়া আমারদিগকে ধরাশায়ী করে ; তৎক্ষণাৎ আমর। সেই অন্তর্যামী বিধাতার হস্ত দেখিতে পাই । মাতা যেমন হস্ত ধারণ করিয়া শিশুদিগকে পদ চালনার শিক্ষা দেন, সেই প্রকার ঈশ্বরও আমাদের হৃদয়ে থাকিয়া অামারদিগকে দেব-পথে চলিবার শিক্ষা দেন ; আমরা ধৰ্ম্ম-সোপানে পদ নিক্ষেপ করিয়া অমৃত পান করিতে করিতে সবল হইয়। র্তাহার নিকটস্থ হইতে থাকি । আমাদের যিনি হৃদয়েশ্বর, তিনি আমারদের হৃদয়েই বৰ্ত্তমান । তিনি যদি আমাদের হৃদয়েতেই না থাকিতেন ; তবে কেন আমরা গোপনে, নিজ ন গহনে, মেঘাচ্ছন্ন তমসাবৃত গভীর নিশীথে, পাপাচরণ করলে আমারদের হৃদয় বাণ-বিদ্ধ হইতে থাকে ? যখন আমরা সেই অসহ্য গ্লানিতে ক্ষত ৰিক্ষত হইয়ণ বাণ-বিদ্ধ হরিণের ন্যায় চতুর্দি অন্ধকার দেখিতে থাকি ; তখন আমাদের সম্মুখে উদ্য ও বজের নয় কাহার রুদ্র মুক্ত প্রকাশ পায় ? কিন্তু সে সময়ে ঈশ্বরের স্বেছ কি আমরা অনুভব করিতে পারি না ? যখন র্তাহর দ গু ভোগ করিয়া র্তাহার নিকটে ক্রন্দন করি এবং ক্রমে যখন সেই পাপ হইতে মুক্ত হইয়। অপে অপে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে থাকি ; তখন কি তাহার স্নেহ আমরা অনুভব করিয়া কৃতজ্ঞতা সহকারে তাহার পদে প্ৰণিপাত করি না ? দেখ, আমরা ঘোর পাপী হইয়াও ঈশ্বরের করুণাতে পাপ-যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইতে পারিতেছি । এখানে অবাধ্য দুষ্ট পুত্রকে ত্যজ্য পুত্ৰ করিয়। তাছার প্রতি পিতা আর দৃষ্টি