পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २० } শুদ্ধ বুদ্ধের নিকটবৰ্ত্তী হই । প্রতি দিন যেমন মুখ প্রক্ষণলন করি, সেই ৰূপ পাপ-মলাও যাহাতে অন্তরে স্থান না পায়, তাহার জন্য একান্ত যত্নবান হই। সাধু চেষ্টা দ্বারা, ঈশ্বরের গুণ গান দ্বারা, আত্মার আনন্দ ক্রমিকই বৰ্দ্ধন করি। আমরা কেন না ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইব ? পাপকে সৰ্পের ন্যায় হৃদয়ে পোষণ করিয়া রাখিয়া কেন তাহা হইতে বিচুত হইব ? আমরা হৃদয়-দ্বার সম্পূৰ্ণৰূপে খুলিয়া দিয়া কেন ন হৃদয়েশ্বরকে আহ্বান করিব ? কেন আমরা বিষয়-গরল পানেই মত্ত থাকিব, ঈশ্বরের সহকুসআনন্দ হইতে একে বারে বিচুত হইব ? আমরা কি এতই হীন-মতি হীন-বল—আমাদের কি এক টুকুও চেতন নাই ? যেমন বিষয় আসিবে, যেমন প্রবৃত্তি উঠিবে, আমির শুষ্ক তুণের ন্যায় কি সেই দিকেই ধাবিত হইব ? আমরা জানিয়া শুনিয়া কি কণ্টক-পথে পদার্পণ করিব ? অামারদের আত্মসম্বরণের কি এক টুকুও বল নাই ? ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া কিছুই গৌরব নাই ? ঈশ্বরের অমোঘ সাহায্য পাইব, ইহ জানিয়াও কি অামারদের প্রার্থনা নাই ? হা ! অর কত দিন এই প্রকার অচেতন থাকিবে ? কত দিন আর ঈশ্বর হইতে বিচ্ছিন্ন থাকিবে ? সত্যই কি মনে কর যে র্তাহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে কল্যাণ হইবে ? পাপ-লালসাতে অশান্ত হইলে শান্তি হইবে ? অার মোহ-নিদ্রায় নিদ্রিত থাকিও ন ৷ এখনি তাহীর শরণাপন্ন হও । অমর। সকলেই সেই ঈশ্বরের জীব—র্তাহাকে সৰ্ব্ব প্রযত্নে ভক্তি ও পুজা কর। আমরা সকলেই তাহার আশ্রিত, সকলেই তাহার মঙ্গল-স্বৰূপের উপর একান্ত নির্ভর কর ।