পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २¢ ] . তর দেশে, দেব-লোক হইতে দেব-লোকে, আরোহণ করিয়া সেই দীপ্যমান সুৰ্য্যের স্বৰ্য মহান অজ আত্মার নিকটবর্তী হইতে থাকিবে । দেখ, ঈশ্বরের কি করুণা ! তিনি অমারদিগকে ধূলি হইতে উৎপন্ন করিয়া, ধূলির সঙ্গে একত্র রাখিয়া, অনন্ত জীবনের অনন্ত উন্নতি প্রদান করিলেন । হা ! আমরা কি প্রকারে কৃতজ্ঞ হইব । আমর। ধূলিময় পিঞ্জর-নিবাসী ক্ষুদ্র জীব হইয়া অমৃতের অধিকারী হইয়াছি। আর আর সকলে আপন আপন কৃত্য সমাপন করিয়া চলিয়া যায় । যে সুরম্য শতদল পদ্ম স্বীয় সৌরভ ও লাবণ্য বিস্তার করিয়া জলেতে জ্যোৎস্না-ৰূপে পূর্ণ যৌবনে বিরাজ করিতেছিল, হা ! পর ক্ষণে তাহা জলবিম্বের ন্যায় জলসাৎ হইয়া গেল, কুত্ৰাপি তাহার চিহ্ন মাত্র রহিল না । শরীরও এই প্রকার ধূলিসাৎ श्शे८दজল জলেতে, বায়ু বায়ুতে, মৃত্তিক মৃত্তিকাতে মিশাইয়। যাইবে। অবিনশ্বর আত্মা নব জীবন পাইয়া নুব লোকে গিয়া উদয় হইবে । যে আত্মা ব্রত-পরায়ণ হইয়া, পুণ্যেতে পবিত্র হইয়া, সেই পরম স্থান অন্বেষণ করে, যেখানে মোহ শোক, পাপ তাপ, জজরিত হয় ; সে আত্মার যত্ন কখন বিফল হয় না । কেন না ঈশ্বরেরও এই অভিপ্রায় । যে ব্যক্তি জীবন-সহায়কে অাপন ইচ্ছাতে জীবন সমর্পণ করিতে চাহে, তাছার ইচ্ছা পূর্ণ হইবে না তো আর কাহার হইবে ? তাহার যাহা ইচ্ছা, প্রিয়তম ঈশ্বরেরও তাঁহাই ইচ্ছা । র্তাহার ইচ্ছ। এই যে আমরা পবিত্র হইয় তাহার নিকটে যাই । আমরা যদি আপনারাই তার নিকটে যাইতে চাহি,