পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| לכא ] আবার এই পবিত্র সমাজ-মন্দিরে তার উপাসনা করিতেছি । এমন স্থানে, যেখানে আর কাহারো চক্ষু নাই, কেবল ঈশ্বর আর আমি এক চক্ষে মিলিত হইয়াছি, এমন নির্জন স্থানে প্রিয়তমের দর্শন পাইয়াছি—আবার এখানে এই ভ্রাতৃ-মণ্ডলীর মধ্যে সেই মহেশ্বরকে পূজা করিতেছি । মামারদের আত্মা কৃতাৰ্থ হইয়াছে এবং পরিতৃপ্ত ও উন্নত হইয়া দেবতাদের সঙ্গে একাসনে ঈশ্বরের অপরাধনার নিমিত্তে ব্যগ্র হইতেছে । হা ! পৃথিবীতেই কি আত্মার এমন প্রশস্ত ও উন্নত ভাবের শেষ হইবে ? মৃত্যুর পরে সেই প্রথম দিনের প্রাতঃকাল যখন উদয় হইবে, যখন এই সংসারের রজনীর অবমান হইবে—আমরা জ্ঞানেতে, ধৰ্ম্মেতে, প্রীতিতে উন্নত হইয়। পরম দেবকে যখন সম্মুখে দেখিব, দেব-মণ্ডলীর মধ্যে সমাসীন হইয়া আনন্দের সহিত র্তার চরণ পূজা করিব ; তখন আমারদের কি সৌভাগ্য উদয় হইবে । অদ্যই যদি এই পৃথিবীর নিশ। অবসান হয়—আদ্যকার নিশা যদি আমার এখানকার শেষ নিশা হয়—যদি আর এক উন্নত লোকে গিয়া প্রণতঃ কালের স্বর্ষ্যোদয় অবলোকন করি ; তবে আমার আত্মা কি আনন্দের সহিত তাহার এই শরীর-পিঞ্জর পরিত্যাগ করে । এ নিশা কি আনন্দ নিশা হয় । বিদেশ হইতে স্বদেশে গিয়া উন্নত দেবতাদিগের সঙ্গে মিলিয়া যদি ঈশ্বরের গুণ কীৰ্ত্তন করিতে পাই-পরম পিতার শুভ অভিপ্রায় যদি সাধন করিতে পাই; তবে অামারদের প্রার্থনার বিষয় আর কি থাকে। সংসারে এই আশাতেই আমরা জীবিত রহিয়াছি ! নাবিক যেমন স্বদুর