পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৮ ] অস্তিরিক রিপুগণের উত্তেজনা হইতে অব্যাহতি পাইয়। শান্ত হৃদয়ে ঈশ্বরেতেই পরিতৃপ্ত থাকেন। ইহার বিপরীত ভাব দেখ। যে যুব পাপের দাস হইয়। আত্মার স্বাধীন তাকে বিনষ্ট করে, যথেচ্ছাচারী হইয়। কেবল আহার বিহারে চির যৌবন ক্ষেপণ করে; বৃদ্ধ বয়সে যখন তাহার শরীর ক্ষীণ হয়, ও ইন্দ্রিয় জীর্ণ হয়, প্রবল বিষয়-তৃষ্ণ তখনও তাহাকে পরিত্যাগ করে না । তখন তাহার তৃষ্ণার আরও বৃদ্ধি হয়, পাপ-লালস। তাহার সকল শরীরকে দগ্ধ করিতে থাকে। তখন সেই অমিতাচারী বৃদ্ধের নরক সমান হৃদয়ে কি যন্ত্রণা ! কোথায় সে উপদেষ্ট হইয়। শত শত যুবকে ধর্মের আশ্রয়ে আনিবে—-কোথায় পিতার সমান হইয় তাহীদের যথার্থ কল্যাণ অন্বেষণ করিবে, ন। তাহার অসাধু দৃষ্টান্তে সাধুর মনও বিচলিত হইয়। যায়, তাহার অশ্লীল পাপময় কথাতে পবিত্র স্থানও পাপলয় হয় । মনে করিয়া দেথ তার কি নরক ভোগ । মনে কর এই প্রকার ভয়ানক অবস্থাতে তাহার মৃত্যু হইল । মনে কর তাহার ভোগ-তৃষ্ণা পাপ-লালস। তেমনি রহিয়াছে—অথচ তাহার চক্ষু নাই, কৰ্ণ নাই, আর কোন ইন্দ্রিয় নাই, যে সে তাহ চরিতার্থ করতে পারে। সে সময়ে তাহার কি যন্ত্রণ | বিষয়-লালসাতে তাহার হৃদয় পারপূর্ণ, অথচ তাহার একটা লালসাও চরিতার্থ করিবার উপর নাই । একি ভয়ানক নরক-যন্ত্রণ ! আবার মনে কর আত্ম-গ্লানি আসিয়া ত{হার হৃদয়কে শত গুণ বলে আক্রমণ করিল। একে বিষয়-কামনা ভোগের উপায় নাই— তাহাতে আত্ম-প্লানির অসহ ঘন্ত্রণ । তাহার সেই নরক