পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &s ] চ্ছাশ্বতী ভ্যঃ সম ভ}ঃ ”। “ তিনি সৰ্ব্বকালে প্রজাদিগকে ষথোপযুক্ত অর্থ-সকল বিধান করিতেছেন “ । যে সকল কঠোর পর্বত কেবল হিমের অালয়, সেখানেও অগ্রে জীবিকা রাখির জীব-সকল স্থষ্টি করিয়াছেন । তবে কি তিনি আমারদিগকে বিস্মৃত থাকিবেন ? যখন আমরা মু!তৃ-গৰ্ত্ত-অন্ধকারে থাকিয় কিছুই জানিতাম না, তখনো তিনি আমারদিগকে রক্ষা করিয়াছিলেন। এখন কি দেখিবেন না ? তিনি যদি এখনি আমারদের সম্মখে তেজোরাশি-ৰূপে আবির্ভূত হইয়া বলেন, বর প্রার্থনা কর. আমরা কি প্রার্থনা করিব ? আমরা কি প্রার্থনা করিব প্রতিদিন যেন অন্ন পাই, বস্ত্র পাই ? ন বলিব, যেমন এখন কৃপা করিয়া দেখা দিলে, এই প্রকার চিরকাল অমার নয়নের সম্মুখে থাক ; আমার হৃদয়ে থাক ; অনন্ত কালের উপজীবিকা হইয়া থাক । আমরা যেমন এই পৃথিবীতে বিষয়-মুখের জন্য প্রার্থনা করি না, সেই ৰূপ পরলোকের সুখের জন্যও অ কাঙক্ষী নহি । আমরদের প্রার্থনা ইহা নহে যে ইন্দ্র লোকে গিয়া রাজত্ব করিব—স্বর্গে গিয়া সুখ-ভোগ করিব—সুর অপসর লইয় নানা প্রকার ইন্দ্রিয়-সুখে পরিবৃত থাকিব । এ সকল কম্পন ও ক্ষুদ্রত। অামারদের নহে । যে সকল সুখ এই পৃথিবীরই যোগ্য নহে, তাহা আমরা স্বৰ্গ লোকে গিয়। আবার ভোগ করতে চাহি না । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ এ প্রকার নয় ষে “ চন্দ্র লোকে বিভূতিমনুভূয় পুনরাবপ্ততে”।. "পুণ্য বলে চন্দ্রলোকে গিয়া তথাকার ঐশ্বৰ্য্যভোগের শেষ হইলে পুনর্বার পৃথিবীতে জন্মিতে হ