পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
মুক্তি।

নবম উপদেশ।

মুক্তি।

 ঈশ্বরের উপাসনা কি নিমিত্তে? যে ব্যক্তি উত্তর করে, সুখ সম্পদ পাইবার নিমিত্তে, সে বালকের ন্যায় উত্তর করে। তাহার যথার্থ লক্ষ্য স্থান এখনো হৃদয়ে আইসে নাই। এখানে সুখ দুঃখের সর্ব্বদাই পরিবর্ত্তন হইতেছে। আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে, পরীক্ষার নিমিত্তে, ঈশ্বর আমাদিগের নিকটে বিপদ প্রেরণ করিতেছেন। বিষয়-মুখ কখনই ঈশ্বরোপাসনার প্রকৃত লক্ষ্য নহে। তবে ঈশ্বরের উপাসনা কি নিমিত্তে? যে ব্যক্তি উত্তর করে, মুক্তি লাভের নিমিত্তে; সেই পণ্ডিতের ন্যায় উত্তর করে। মুক্তিই আমাদের যথার্থ লক্ষ্য স্থান—তাহার আনুসঙ্গিক যাহা কিছু উপকারী, তাহাই আমাদের প্রার্থনার যগ্য। মুক্তির পথে দণ্ডায়মান হইয়া ঈশ্বরের নিকট স্বভাবতঃ আমাদের এই প্রকার প্রার্থনা যায়, যে হে পরমাত্মন! আমাকে পাপ হইতে মুক্ত কর, আমার আত্মাতে পবিত্রতা বিস্তার কর; তুমি আমার নিকটে প্রকাশিত হও; তোমার সহবাসে আমাকে নিরন্তর রক্ষা কর। মুক্তি যদি আমাদের লক্ষ্য হয়, তবে আমরা মধ্য দেশে থাকি। সমুদায় সংসারের কার্যই পরিধি হয়, আর আমরা মধ্যের বিন্দুতে অবস্থিতি করি। এই মধ্য দেশে থাকিলে সকলের সঙ্গেই আমাদের সম্বন্ধ থাকে, কিছুই বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকে না। মুক্তি যদি