পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१ ] সময় পাইলেই মনের ভাব প্রকাশ করেন। কিছুদিন পূৰ্ব্বে র্যাহারা অত্যন্ত বিনীত ও কুতজ্ঞ ছিলেন, অল্পদিন মধ্যে তাহারাও চক্ষুলজ্জা পরিত্যাগ করিয়া উদ্ধত ও অকৃতজ্ঞ হইয়া উঠিলেন। আমি পূৰ্ব্ব হইতে দেখিয়া আসিতেছি, বিদ্বেষ কলহ বিবাদ ভিন্ন ব্রাহ্মসমাজে কোন পরিবর্তন উপস্থিত হয় । নাই। অল্প দিনের মধ্যে পুনঃ পুনঃ পরিবর্তন হওয়াতে ব্রাহ্মসমাজ হইতে সদৃভাব ভ্রাতৃভাব তিরোহিত হইতেছে। প্রকৃত ধৰ্ম্মার্থী হইয়া পরিত্রাণের জন্য ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিলে সহস্র পরিবর্তনেও ভ্রাতৃভাবের অভাব হয় না। এই আন্দোলনে অনেক অল্প বয়স্ক ব্রান্ধের বিশেষ অপকার হইয়াছে। কেহ কেহ প্রচারকদিগকে তিরস্কার করিয়া বাট গিয়া প্রায়শ্চিত্ত করিয়া পৌত্তলিক হইয়া পড়িয়াছেন। অনেকে মনে করিতে পারেন যে, প্রচারকগণ স্ত্রী স্বাধীন তার বিরোধী নহেন, তবে তাহাদিগের সহিত স্বী-স্বাধীনতাপ্রিয় ব্রাহ্মদিগের বিবাদ হইল কেন ? প্রচারকগণ স্ত্রীস্বাধীনতার বিরোধী নহেন । তাহারা বলেন স্বাধীনতা অন্তরে—স্বাধীনতা বাহিরে নাই । মন জ্ঞান ধৰ্ম্মে সমুন্নত না হইলে প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করা যায় না। অতএব স্ত্রীজাতিকে প্রথমে জ্ঞান ধৰ্ম্মে উন্নত করিতে হুইবে । জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতি দ্বারা কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি বলবতী হইলে, বিবেক প্রস্ফুটিত হইলেই স্ত্রীজাতি স্বাধীনভাবে সকল কার্য্য সম্পন্ন করিতে পারেন । জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতি না হইলে মন নিকৃষ্ট বৃত্তির অধীন হইয়া স্বেচ্ছাচারী