পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
॥ ১॥

ভায়া,

 সময় মত চিঠি দিতে পারি না বলে রাগ করেছ। কোথায় থাকি, কোথায় যাই, কোথায় শুই, কোথায় খাই— কিছুরই ঠিক নেই! তারপর, দু’দণ্ড স্থির হয়ে বসে যে নিশ্চিন্ত হয়ে কয়েকটা ছত্র লিখবো, সে রকম মন নিয়েও জন্মাই নি। যাই হোক, এবার ঘুরতে ঘুরতে একটা বড় মজার ব্যাপার দেখলুম। যাচ্ছি গুজরাতে, বরদা রাজ্যে। রেলগাড়ীতে জনকতক গুজরাতী ব্রাহ্মণ, কয়েক জন মারাঠী আর বাকি হিন্দুস্থানী। একা আমিই সবেধন নীলমণি বাঙ্গালী। গাড়ীতে বেশ গল্প জমে এসেছে। একজন গুজরাতী ব্রাহ্মণ মালা জপতে জপতে শোনাচ্ছিলেন যে, তাঁর ছেলে না ভাইপো গায়কবাড়ের রাজ্যের একজন মস্ত বড় অফিসার। মালার একটি দানা দেখিয়ে বললেন যে, সেটি আসল একমুখী রুদ্রাক্ষ। এক গির্ণার পাহাড় ছাড়া সে রকমটি আর ভূ-ভারতে অন্য কোথাও পাবার জো নেই। এমনি তার মাহাত্ম্য যে, সেটি ধরে এক লক্ষ বার শিবমন্ত্র জপ করলেই হয় মহাদেব, না হয় নন্দী, অভাব পক্ষে মহাদেবের বাহন ষাঁড়টি এসে হাজির হবেনই হবেন। একজন হিন্দুস্থানী তাঁর কথায় সায় দিয়ে বললেন