পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবিষ্যতের বাঙালী eܟ গৰ্হিত আচরণ করে, তারা যাতে কোন সমাজে প্রশ্ৰয় না পায়, তার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। আর তাদের মতবাদের অসারতা সুযুক্তির সাহায্যে প্রমাণ করতে হ’বে। তারপর দৃষ্টান্ত এবং প্রচারকার্ধ্যের দ্বারা উচ্চতর আদর্শের গৌরব দেশময় ঘোষণা করতে হ’বে। উচ্চতর আদর্শ সত্যই যদি একবার মাথা তুলে দাড়ায়, তা’হ’লে নীচতাকে পরাভব স্বীকার করতেই হ’বে । আকাশে সুৰ্য্যোদয় হ’লে অন্ধকার কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে ? উচ্চতর আদর্শ মাথা তুলে দাড়ায়নি বলেই নীচতার এতটা আস্ফালন ! আমাদের সমস্ত চেষ্টা এবং সাধনাকে এই উচ্চতর আদর্শের প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োগ করতে হ’বে । সাফল্য আসতে বিলম্ব হ’তে পারে ব,ে কিন্তু সাফল্য সুনিশ্চিত । প্রয়োজন কেবল ধৈৰ্য্যের এবং ঐকান্তিক সাধনার। যা অপরিচিত, তাকেই মানুষ ভয় করে, সন্দেহের চক্ষে দেখে। আর যা’ পরিচিত, যত কুৎসিৎ এবং অবাঞ্ছনীয়ই হোক, তাকে গ্ৰহণ করতে, তাকে নিয়ে ঘর করতে মানুষ দ্বিধাবোধ করে না। হিন্দু-মুসলমানবিরোধের অন্যতম প্ৰধান কারণ হ’চ্ছে, তাদের সামাজিক মিলনের বিরলতা, তাদের ভিন্ন ভিন্ন ধরণের জীবনধারণপ্রণালী, তাদের বিভিন্ন রীতিনীতি । সুখের বিষয় যে, পাশ্চাত্য শিক্ষা এবং সভ্যতার প্রভাবে এই বিভিন্নতা, এই দূরত্ব ক্রমেই ক’মে আসছে, বিশেষ ক’রে এই বাংলা দেশে। তিরিশ-চব্বিশ বৎসর পুর্বে কে হিন্দু আর কে মুসলমান, তা” তাদের দেখলেই চেনা যেত।--তাদের কথা শুনলেই বোঝা যেত । আর তাদের আচার-ব্যবহার অতি স্পষ্টভাবেই তা’ ঘোষণা করত। কিন্তু এখনকার বাঙালী হিন্দু-মুসলমানের বিষয়ে সে কথা বলা চলে না। তখনকার দিনে হিন্দুমুসলমানের এক সঙ্গে ব’সে আহার-বিহার করা: BDD BBDB DBB BB DBzSS LB D DBuu DuDuDD DD S