পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
১৪৯

সীমাবদ্ধ, তখন এরকম চাকর নিয়ে মর্ত্ত্যলোকে অসুবিধায় প’ড়্‌তে হয়। ওর একটা মস্ত গুণ এই-যে, ও ঠাট্টা ক’র্‌লে বুঝ্‌তে পারে, ঠিক সময়ে হাস্‌তে জানে; আমার late lamented সাধুচরণের সে-বালাই ছিল না। আমার আবার স্বভাব এমন-যে, ঠাট্টা না ক’রে বাঁচিনে, তাই ও যতক্ষণ কাপড় বের ক’র্‌চে আর গোচাচ্চে, আমি ততক্ষণ সেই সুদীর্ঘ সময় ঠাট্টা ক’রে অতিবাহন করি। যাই হোক্, ওকে বিদেশী হাওয়া, বিদেশী খাওয়া, বিদেশী ভিড় থেকে ফিরে নিয়ে গিয়ে কোনোমতে বৌমার হাতে আস্তটি ফিরে দিতে পার্‌লে নিরুদ্বিগ্ন হই। আমার যে কতবড়ো দায়িত্ব, সে ওকে না দেখ্‌লে ভালো করে অনুধাবন কর্‌তেই পার্‌বে না। একে আমার বিশ্বভারতী, তার উপর বনমালী। ভাবনার আর অন্ত নাই।

 আমি বোধহয় দুই তিন দিনের মধ্যেই রওনা হবো, অতএব যদি চিঠি লেখো তো শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় লিখো। ইতি, বোধ হ’চ্চে ১০ই ডিসেম্বর।