ঘড়িটা ছিল তাকে নির্ব্বাসিত ক’রে দিয়েচি। ইদানীং তা’র ব্যবহারে এমন হয়ে এসেছিল-যে, তাকে বিশ্বাস কবার জো ছিল না—সে চ’ল্তোও ভুল ব’ল্তোও ভুল, তা’র পরামর্শমতো খেতে শুতে গিয়ে আমি অনেকবার ঠ’কেচি। তবু উপযুক্ত উপায়ে তাকে-যে সংশোধন করা যেতো না তা ব’লতে পারিনে—কিন্তু সময়ের জন্যই ঘড়ি, ঘড়ির জন্য সময় নষ্ট করা আমার পোষায় না। যাই হোক আন্দাজে মনে হ’চ্চে একটা দেড়টা হ’য়ে গেচে। আর একটু বাদেই আমাকে একটা ক্লাশ পড়াতে হবে। আজকাল প্রায় জন পনেরো গুজ্রাটি ছেলে এসেচে, কী ক’রে তাদের বাংলা পড়াতে হবে সেইটে আজ আমি দেখিয়ে দেবো—বৌমা আর শৈল ওদের দুপুর বেলায় একঘণ্টা ক’রে বাংলা পড়াতে রাজি হয়েছেন।
ইতিমধ্যে এণ্ড্রুজ্ সাহেবের খুব অসুখ ক’রেছিলো। আমাদের ভাবনা হ’য়েছিলো। একদিন তো রাত্রে তাঁর নিজের মনে হ’লো তাঁর ওলাউঠা হ’য়েচে। সেই রাত্রি এক্টার সময় বর্দ্ধমানে ডাক্তার ডাক্তে লোক পাঠিয়ে দিলুম। কিন্তু ইতিমধ্যে আমার ওষুধ খেয়ে এতটা ভালো হ’য়ে উঠ্লেন-যে, ভোরের বেলায় আবার