পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী ভাষা । { ১৯• • খ্ৰীষ্টাব্দের ২৯ শে ফেব্রুয়ারী তারিখে রামকৃষ্ণ মঠপরিচালিত উদ্বোধন পত্রের সম্পাদককে স্বামীজি যে পত্র লিখেন, তাহা হইতে উদ্ধত । ] আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকে সংস্কৃতয় সমস্ত বিদ্য৷ থাকার দরুণ, বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে একটা অপার সমুদ্র দাড়িয়ে গেছে । বুদ্ধ থেকে চৈতন্ত রামকৃষ্ণ পৰ্য্যস্ত যারা “লোকহিতায়” এসেছেন, তারা সকলেই সাধারণ লোকের ভাষায় সাধারণকে শিক্ষা দিয়াছেন । পাণ্ডিত্য অবশু উৎকৃষ্ট ; কিন্তু কটমট ভাষা, যা অপ্রাকৃতিক, কল্পিত মাত্র, তাতে ছাড়া কি আর পাণ্ডিত্য হয় না ? চলিত ভাষায় কি আর শিল্পনৈপুণ্য হয় না ? স্বাভাবিক ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তৈয়ার ক’রে কি হবে ? যে ভাষায় ঘরে কথা কও, তাহাতেই ত সমস্ত পাণ্ডিত্য গবেষণা মনে মনে কর ; তবে লেখবার বেল ও একটা কি কিভূতকিমাকার উপস্থিত কর? যে ভাষায় নিজের মনে দর্শন বিজ্ঞান চিন্তা কর, দশজনে বিচার কর—সে ভাষা কি দর্শন বিজ্ঞান লেখবার ভাষা নয় ? যদি না হয়, ত নিজের মনে এবং পাঁচজনে, ও সকল তত্ত্ববিচার কেমন ক’রে কর ? স্বাভাবিক ষে ভাষায় মনের ভাব আমরা প্রকাশ করি, যে ভাষায় ক্রোধ দুঃখ ভালবাসা ইত্যাদি জানাই,— তার চেয়ে উপযুক্ত ভাষা হ’তে পারেই না ; সেই ভাব, সেই ভঙ্গি, সেই সমস্ত ব্যবহার ক’রে যেতে হবে । ও ভাষার যেমন জোর, 어