পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯyხr ভারতবর্ষের ভূগোল ব্লত্তান্ত । পঞ্জাবের উত্তর এবং দক্ষিণভাগের আকারগত প্রাক্কতিক বৈলক্ষণ্য অনেক অনুভূত হয়, যেহেতু প্রথমোক্ত ভাগ পৰ্ব্বত শ্রেণীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন ও গিরি বেষ্টিত কতকগুলিন উপত্যক বিভূষিত, অথচ শেষোক্ত ভাগ পঞ্চ দোয়াবে (অন্তৰ্ব্বেদে ) বিভিন্নরুত সমতল দেশ। উত্তর-পূর্ব সীমার নিকটে ও প্রত্যন্ত হিমালয় পৰ্ব্বত শ্রেণীর দক্ষিণে এক প্রশস্ত ক্ষেত্র,এবং বালিয়াপাতর ও চুনা-পাতর ইত্যাদি স্তর বিমণ্ডিত যে ভূমিখণ্ড, তাহাতে দৃঢ় ও গুরুভার অথচ রক্তবর্ণ প্রস্তরীভূত লবণের অক্ষয় স্তর আছে। পশ্চিমদিগে অন্তৰ্বেদ ( দোয়াব ) পার হইয়া ঝিলম এবং সিন্ধুর মধ্যস্থিত লবণ পৰ্ব্বত পুক্তি সলিমান ও খাইবর পর্বত শ্রেণীর সহিত মিলিত হইয়াছে। এই লবণ পৰ্ব্বত শ্রেণী কোন কোন স্থানে ২০০০ ফিটেরও অধিক উচ্চ। লবণ ব্যতিরেকে রসাঞ্জন, ফট কিরি এবং গন্ধকও তাহাতে উৎপন্ন হইয়া থাকে । চিনাব ও অন্য কতকগুলিন ছোট নদী-প্রবাহের বালুক মধ্যে স্বর্ণ পাওয়া যায়। লৌহ এবং সামান্য লবণ মন্দী দেশে, যবক্ষার পললময় ক্ষেত্রে ও কয়ল। লবণ পৰ্ব্বত শ্রেণীতে এবং অপরাপর স্থানে দৃষ্ট হইয়া থাকে। পঞ্জাব অপেক্ষ এতাদৃশ প্রশস্ত অন্য কোন দেশে,ভূমিতে জল সেচনের ও দেশ মধ্যে নৌকা গমনাগমনের সুযোগ ও সদুপায় প্রাপ্ত হওয়া বড় দুর্যকর। ইহার সমুদয় নদীর পূর্ব প্রান্তস্থিত শতদ্রু তিৰ্ব্বতে উদ্ভব হইয়া, হরিকির নিকটে ব্যাস নদীকে গ্রহণ পূর্বক তাহার নিম্নভাগে ঐ সম্মিলিত সোত ঘারানামে প্রসিদ্ধ হইয়া, চিনাব সঙ্গমে প্রবেশ করি