বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতবর্ষে.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ব্রাহ্মণ্যশাস্ত্রের মায়াবাদ ও অদ্বৈতবাদ।
২৭

(৪)

ব্রাহ্মণ্যশাস্ত্রের মায়াবাদ ও অদ্বৈতবাদ।

 ফরাসী লেখক আন্দ্রে শেভ্রিয়োঁ ভারতের মায়াবাদ সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা সর্ব্বাংশে আমাদের মতের সহিত ঐক্য না হউক্‌, তাহার মূলে যে অনেকটা সত্য আছে এ কথা অস্বীকার করা যায় না। বৈদিক যুগ হইতে মায়াবাদের সূত্রপাত হইয়া কি করিয়া ক্রমশঃ বিস্তার লাভ করিয়াছে এবং তাহার বিষময় ফল আমাদের সমাজের হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছে তাহা তিনি বিশদরূপে দেখাইয়া দিয়াছেন। একজন বৈদেশিক কিছুকালের জন্য এদেশে ভ্রমণ করিতে আসিয়া আমাদের শাস্ত্রের মর্ম্ম যে যথার্থরূপে গ্রহণ করিতে পারিবেন ইহা প্রত্যাশা করা যায় না। তবু কতকটা যে তিনি পারিয়াছেন, ইহাই আশ্চর্য্য। তিনি দুই একটা কঠোর কথা বলিয়াছেন; তাহা আমাদের শোনা ভাল। তাহাতে উপকার ভিন্ন অপকার নাই। অনেক সময় আমাদের নিজের দোষ গুণ নিজে বুঝিতে পারি না; তাহা বাহিরের লোকের চোখে পড়ে। যাহা হউক, তিনি যাহা বলিয়াছেন তাহাতে একটু নূতনত্ব আছে। তিনি বলেন, “এই অদ্বৈতবাদ যাহা ভারতবর্ষে দুই হাজার বৎসর হইতে চলিয়া আসিতেছে, ইহা কোন ব্যক্তিবিশেষের বা সম্প্রদায়বিশেষের মত নহে। সমস্ত হিন্দুজাতি সাধারণতঃ জগৎকে যে ভাবে দর্শন করে, তাহাই দার্শনিক ভাষায় বর্ণিত হইয়াছে মাত্র। ইহা ভাল করিয়া যদি বুঝিতে চাও আর কোন জাতির আভ্যন্তরিক ভাব আলোচনা করিয়া দেখ; ব্রাহ্মণদিগের পুরাতন দার্শনিক কবিতা সকল পাশাপাশি রাখিয়া, বাইব্‌ল্‌ গ্রন্থখানি একবার পাঠ করিয়া দেখ। তাহাতে কি দেখিতে পাও? আর কিছুই নহে,