পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৯৯

যে ধ্যানের বর্ণনা আছে, তাহা সাধক সম্বন্ধে প্রযোজ্য। Fouche কৃত বর্ণনাটি অনুপমরক্ষিত কৃত শ্রীখসর্পণ-লোকেশ্বরসাধন গ্রন্থ হইতে গৃহীত। “কিঞ্চিদবিস্তর তারাসাধন গ্রন্থ”ও অনুপম রক্ষিত কৃত। এই উভয় গ্রন্থে যে সাধন পদ্ধতি দেওয়া হইয়াছে তাহাও কুমারস্বামীর বর্ণনা হইতে কথঞ্চিদ্ বিভিন্ন। অবশ্য মোটামুটি ভাবে যথেষ্ট মিল আছে কিন্তু সাধকের চিন্তাপদ্ধতি সম্বন্ধে যাহা প্রযোজ্য, শিল্পকার সম্বন্ধেও যে সেই বিধিই প্রযোজা একথা উক্ত গ্রন্থদ্বয় হইতে কিছুতেই বুঝা যায় না। কুমারস্বামী ও জানেন যে এই পদ্ধতি সাধকের জন্য নির্দিষ্ট তথাপি যতদূর মনে হয় একরূপ বিনা প্রমাণেই ঐ পদ্ধতিতেই শিল্পী তাহার শিল্পের কল্পনা করেন এই সিদ্ধান্তের নির্দেশ করিয়াছেন—“The whole process up to the point of manufacture belongs to the established order of personal devotion, in which worship is paid to an image mentally conceived". (ধ্যাত্বা যজেত) Transformation of Nature in Arr p. 6.) কিন্তু মূর্তি বা প্রতিমাদি প্রস্তুতকালে শিল্পী যে আপন হৃদ্‌গহনে চিত্র-বস্তুটী ধ্যানের দ্বারা প্রত্যক্ষ করিতেন এবং এই ধ্যানের দৌর্বল্য বশতঃ যে চিত্রের দুর্বলতা ঘটিত সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। শুক্রনীতিসারে লিখিত আছে—

ধ্যানযোগস্য সংসিদ্ধ্যৈ প্রতিমালক্ষণং স্মৃতম্।
প্রতিমাকারকে মর্ত্তো যথা ধ্যানরত ভবেৎ॥