পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৭৫

প্রতি হিন্দু শিল্পীর কোনও মমতা ছিল না। সাঁচীর কুড্য চিত্রে বিশ্বম্ভর জাতকের যে ছবি দেওয়া আছে তাহাতে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের প্রেম জাজ্বল্যমান হইয়া উঠিয়াছে। পূর্ব্বদ্বারের একটি চিত্রে সমস্ত প্রাণিলোক আসিয়া বোধিবৃক্ষের উপাসনা করিতেছে। মহিষ আসিয়াছে, সিংহ ব্যাঘ্র বকাদি আসিয়াছে, নাগের আসিয়াছে, গরুড় আসিয়াছে, হরিণ শ্বেতহস্তী সকলে আসিয়া বোধিবৃক্ষের নিকট বোধিলাভের জন্য প্রার্থনা করিতেছে। কোনওখানে বা হস্তীরা আসিয়া স্তুপপূজা করিতেছে। আবার বহু ময়ূরের নানা খেলা দেখান হইয়াছে। এই সমস্ত চিত্রের মধ্যে যে প্রাণিসাদৃশ্য দেখান হইয়াছে সারনাথে তার তুলনা নাই। এই সমস্ত চিত্রে সমস্ত প্রাণিজগতের প্রতি যে প্রেম ও স্নেহের দৃষ্টান্ত পাই, কোন এসিরীয় বা গ্রীক খোদিত চিত্রে তাহার তুলনা নাই। René Grousset “The Civilization of the East” গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে এই প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন— As he stands before these scenes with a delicate and tender feeling for nature, Assyrian bas-reliefs seem very conventional and even Greek basreliefs almost strike us as cold. In this connection we may note what it is that distinguishes the Indian animal sculptures from those of classical arts; it is precisely this brotherly sympathy with all living beings, a sentiment having its