পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

মানস সরোবর হইতে প্রশ্রুত হইয়াছে ও সৃষ্টি প্রক্রিয়ার ও প্রাণ-প্রভাবের সমগ্র পত্রিতায় যে তাহা অভিমন্ত্রিত ও অভিষিক্ত হইয়াছে সমস্ত অবয়বের লীলালহরের মধ্য দিয়া তাহা যেন ললিত-লীলা-লাস্যে চক্ষুর সম্মুখে স্নিগ্ধোজ্জল হইয়া ওঠে। এই চিত্রগুলি দেখিলে বুঝা যায় যে কি পবিত্রতার আদর্শ লইয়া মহাকবি কালিদাস জগন্মাতা পাৰ্বতীর রূপ বর্ণনা করিতে গিয়া তাহার সমগ্র দেহের সমস্ত প্রধান অবয়বের রূপ-লাবণ্য অমৃতময়ী ভাষায় চিত্রিত করিতে কোন দ্বিধা বোধ করেন নাই। আকাঙ্ক্ষা-বর্জিত ভাবে দেহের সামঞ্জস্যে জগৎ-সৃষ্টির উদ্দেশ্য সফলতার জন্য স্ত্রী-শরীরে যে লাবণ্য ফুঠিয়া ওঠে তাহা প্রভাতের অরুণোদয়ের ন্যায়, সন্ধ্যাতারার ন্যায়, ললিত-লীলায়িত কমলের ন্যায়, ভাগীরথীনির্ঝরিণী-শীকরের ন্যায়, আত্মার চেতনাদীপ্তির ন্যায় পবিত্র আনন্দের সৃষ্টি করে। অজন্তাতে ইহা এতই সুস্পষ্ট হইয়াছে যে যানিক দৃষ্টিতে দেখিয়াও René Grousset এইগুলি সম্বন্ধে বর্ণনা করিতে গিয়া বলিয়াছেন—The treatment of the hands alone by the painters of Ajanta would be enough to express the almost Franciscan tenderness by which they are animated. What a spiritual quality there is in their slightest gestures, what mystical feeling in the most amorous caress! Even in the idyllic scenes body and soul