পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেরঘাট ও গুণের গয়া নগরীর দক্ষিণদিক হইতে দ্বাদশ মাইল দীর্ঘ ষে এক রাজপথ আসিয়া গ্র্যাণ্ড টঙ্ক রোড় নামক ভারতবর্ষের স্বপ্রসিদ্ধ রাজবত্ম্যের সহিত সম্মিলিত হইয়াছে, সেই স্থানে “সেরঘাট” নামে খ্যাত প্রাচীন ক্ষুদ্র নগরীট অবস্থিত। এই জনপদ উক্ত রাজপথদ্বয়ের সংযোগ স্থলে স্থাপিত থাকা হেতু পূর্বে ইহা গয়া জিলার মধ্যে বিখ্যাত বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল । অধুনা সাধারণ কতকগুলি পান, সিগারেট ও মুদীর দোকান প্রভৃতি ব্যতীত ইহার পূর্বের সেই বাণিজ্য গৌরবের আর কোন নিদর্শনই বর্তমান নাই। উল্লিখিত গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রোড নামক যে রাজবক্স এই ক্ষুদ্র নগরীকে দ্বিখণ্ডে বিভক্ত করিয়াছে, সেই স্থানে ইহার উচ্চতানিবন্ধন এই জনপদের একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে যাতায়াতের অসুবিধা দূর করিবার উদ্দেশ্বে তাছাতে এক বৃহৎ সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তন্নিম্নবর্তী পথের দ্বারা এই জনপদের একদিক হইতে অপর দিকে গমনাগমন করিতে হয় । ভারতবর্ষের সর্বপ্রধান মহানগরী কলিকাতা ও বম্বের মধ্যে বাষ্পীয় যান প্রচলন হইলে—পাটনা হইতে একটা এবং লক্ষীসরাই হইতে আর একটা এই দুই লৌহবত্ব গয়াতে আসিয়া পূৰ্ব্বেক্ত নগরীদ্বয়ের মধ্যবর্তী লৌহবক্সের সহিত সংযুক্ত হয়। তৎকালাবধি গয়া হইতে এই প্রদেশের ও তন্নিকটবর্তী অঞ্চলসমূহের বাণিজ্যদ্রব্যসম্ভার চতুর্দিকে প্রেরিত হইতে এবং নানা দেশের