পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७sश्रृं दशैं, च्हेम न१था । পরে, হঠাৎ একটা ক্ষুদ্র পাহাড়ের চুড়া হইতে, একটা বিরাট দৃপ্ত দৃষ্টিগোচর হইল। বালুসমুদ্র। এই ধূসর বালু-সমুদ্র, একটা বিশাল পরিসর ভূমির উপর দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। তাহার চারিদিকে, আগ্নেয় গিরির প্রাচীর । বোধ হয় ইহা আগ্নেয় গিরির একটা পুরাতন অগ্নি-গহবর। এই বিরাট গহবর হইতে ৪ tটা প্রকাণ্ড-প্রকাগু আগ্নেয় গিরি সমুখত হইয়াছে ; —বাটকু,—উদ্ভিজ্জে সমাচ্ছন্ন ; তাহার পশ্চাতে ব্রমে ; আরও দুরে, আর কতকগুলা আগ্নেয় গিরি ; দক্ষিণে, Smeroe গিরি ; তাহা হইতে ধূম নির্গত হইতেছে ; দেখিলে মনে হয় যেন টুপির মাথায় পালোকের থোপন উঠিয়াছে...এই অনন্তসাধারণ বিরাট-গম্ভীর দৃপ্ত অনেকক্ষণ দেখিয়t ও ক্ল,স্তি বোধ হয় না । আরকি নিস্তব্ধতা ! বাতাসের শব্দমাত্র নাই— একটি পার্থীর ডানার শব্দ ও নাই ; এই বিরাটগম্ভীর দৃপ্ত দেখিয়া মনোমধ্যে যে এক অপূৰ্ব্ব গাম্ভীর্য-রস অনুভূত হয়, তাহা আর কিছুতেই বিক্ষিপ্ত হইবার নহে। • • • পাহাড়ের পাদদেশে নামিয়া বালু-সমুদ্রে পৌছিলাম। নীচে হইতে দৃগুট। আর এক হিসারে আরও জমৃকালো। — নীচে হইতে আগ্নেয় গিরিগুলার প্রশস্তত আরও বেশী উপলব্ধি করা যায়। উপর হইতে শুধু কল্পনা করা যায় মাত্র । আবার ঘোড়ায় চড়িয়া, বাটকের মধ্য দিয়া,— বায়ু সমুদ্রের চতুর্দিকে, স্ফীতকায় উদ্ভিজ্জশু্যামল যে গিরি- প্রাচীর আছে—তাহাব প্রায় চুড়াদেশে আরোহণ করিলাম। এই অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত দেখিয়া আনন্দে এরূপ উন্মত্ত হইলাম छग्नन-वतईौcश्रृं । goo যে সেই বালু-সমুদ্রের উপর দিয়া আম্বার টাটুকে খুব ছটাইয়া ব্রমোর পাদদেশে আসিয়া পৌছিলাম। ব্রমোর পশ্চাতে, আগ্নেয় পদার্থসমূহের স্বল্প রেণুবাশি জলদ-জালের দ্যায় সমুখি ত হইয়াছে। আমার পথপ্রদর্শক এত পিছনে পড়িয়া গিয়াছে যে, সে একটি বিদুর ন্তায় অদৃষ্ঠ প্রায়। তাহার এই ক্ষুদ্রত হইতে, চতুর্দিকস্থ পদার্থসমূহের বিশালত আরও যেন বেশী উপলব্ধি করিতে পারিতেছি। আমি ব্রমোর দুরারোহ ঢালুৰ উপর পদব্রজে উঠিলাম। একটা বন্ধুর মুড়ি-পথ, তার পর এক প্রকারের সোপান ধাপ—এই পথ ও ধাপের উপর দিয়া একেবারে চুড়ায় खे ठिठांभ । এই শৈল-প্রাচীরের চূড়া হইতে, পাদদেশের গহবর দেখা যায়—এই আগ্নেয় গহবরটা অতীব বিশাল । শৈল-গাত্রে দ্রব-ধাতু গড়াইয় পড়িতেছে ; ফিক হলদে কিংবা ঘোর-সবুজ রঙ্গের গন্ধকের বড়-বড় পতর। অসংখ্য রন্ধু পথ দিয়া ধূমের ফোয়ার নিঃস্থত হইয়া খুব উচ্চে উঠিয়াছে। একেবারে তলদেশে, জল টগবগ করিয়া ফুটিতেছে ; ঐ ফুটন্ত জল পর্য্যায়ক্রমে ধূসব, সাদা, কালো, সবুজ-এইরূপ বিচিত্র বর্ণ ধারণ করিতেছে। একটা বাষ্প উঠিতেছে—এই বাষ্প কখন কুয়ালার মত পাতলা কখন মেঘের মত ঘন--- সমূদ্র গর্জনের স্তায় একটা গভীর শব্ব ক্রমাগত শুনা যাইতেছে—যেন সৈকত বেলার উপর তরঙ্গাঘাত হইতেছে। সময়ে-সময়ে এই মূলধ্বনির সহিত, সে-র্সে শব্দ, ঘোর গর্জন, ও ব্ৰজনিনাদ মিশ্রিত হইতেছে... এই নৈপর্গিক নাট্য, নাট্য-সঙ্গীত, নাট্য