পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । কিন্তু এরূপ ভাবে এই উভয় বীরের তুলনা করা সঙ্গত নহে । আলেকজান্দার রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী ইইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তৈমুরকে নিজের অতুল চেষ্টায় সিংহাসন গড়িয়া লইতে হইয়াছিল। একজন সুশিক্ষিত অগণ্য সৈন্ত বিনীচেষ্টায় লাভ করিয়াছিলেন, অপর জন অশিক্ষিত মেযপালকদের লষ্টয় এক দুৰ্জ্জয় সৈন্ত গঠিত করিয়ছিলেন । আলেকজান্দারের স্কায় তৈমুরের আৱিষ্টটলের (Aristotle) মত গুরু ছিল না সত্য, কিন্তু তৎসত্ত্বেও চরিত্রগুণে তিনি আলেকজান্ধীরের তুল্যই ছিলেন। উপরন্তু তাহার অপেক্ষ। অনেক বিষযে নির্দোম ও নিষ্কলঙ্ক ছিলেন । তৈমুর মিতাচারী, পবিত্র চরিত্র, সংযমী এবং স্বধৰ্ম্মে নিষ্ঠাবান ছিলেন। অনেকে ভাঙ্গকে নৃশংসতার অপরাধে অপরাধী করে সত্য, কিন্তু বিদেশবিজয়ী বীরের পক্ষে তাহার চরিত্র মে বিশেষভাবে নৃশংস ছিল এমন কথা কোনমতেই বলা যায় না । নূতন রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াই তৈমুর সাম্রাজ্য বৃদ্ধির সংকল্প কfয়া সমরখন্দের চতুর্দিক অধিবাসীদিগকে বশীভূত করিতে অগ্রসর হইলেন । আসিয়ার উত্তর দেশ হইতে মধ্যে মধ্যে যে সকল বীরের অভু্যদয় হইয়ttছ, তাহারা প্রায় সকলেই অনুচর বর্গ লইয়। তুষার খণ্ডিত স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণ পণ্ডের ধনধান্তপূর্ণ প্রদেশে বসতি করিয়াছেন । স্বতরাং এ ক্ষেত্রেও ভারতর্মের দিকেই সৰ্ব্বপ্রথমে এই পৰ্ব্বত্যজাতির স্রোত প্রবল বস্তার দ্যtয় আসিয়া পড়িল । সিন্ধু নদের তীরে আদিয়া তৈমুর দেখিলেন যে সে প্রদেশের অধিবাসিদের ধৰ্ম্মবিশ্বাস তাহাদিগের হইতে বিভিন্ন । সে সময়ে তাতারগণ সাধারণতঃ সকলেই মুসলমান ছিল। তিনি নিজে উহাদের পারিবারিক প্রথা অনুসারে চেঙ্গিস খার ধৰ্ম্ম অনুসরণ কfরতেন। এই ধৰ্ম্ম অর্থে এক অনাদি অনন্ত, সৰ্ব্ব শক্তিমান ভপৃষ্ঠ বিধাতায় বিশ্বাস,—তিনিই সর্বময়, সৰ্ব্বন্ধ, অভেদ অখও । তৈমুর এই অদ্বৈতবাদে বিশ্বাস করিংে ন বলিয়া কোরাণের বচনকে ঘৃণা করিতেন এবং পৌত্তলিক ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েরই তিনি বিদ্বেধী ছিলেন । শুনা ধায় যীশুখ্রীষ্ট্রের ধর্মের প্রতি চয়ন—তৈমুর লঙ্গ ।

  • $3)

র্তাহার অনাস্থ ছিল না। তাহার পত্নী নাকি খ্ৰীষ্ট অবলম্বন করিয়াছিলেন এবং সন্তানদিগকে এই ধৰ্ম্মের প্রতি শ্রদ্ধাবান হইতে শিক্ষা দিয়াছিলেন । যাহা হউক সাম্রাজ্য বিস্তারের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ও পৌত্তলিকতাকে উচ্ছিন্ন করিবার প্রবল আগ্রহে প্রণোদিত হইয়। তৈমুর ভারতের হিন্দুদিগের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। তখন কাবুলই ভারতের উত্তরসীমান্তে প্রধান নগর ছিল। এই নগরের নাম হইতেই সন্নিকটস্থ প্রদেশের নাম কাবুলস্থান হইয়াছিল। তৈমুরের বিজয়ী সেনার সহিত প্রথম যুদ্ধের যে ভীষণ সংঘর্য তাহ! এই প্রদেশের রাজাকেই সহ্য করিতে হইয়াছিল। তৈমুরই জয়ী হইলেন এবং সমগ্র কাবুলস্থান লুষ্ঠিত, পীড়িত হইয়। তাড়fরর বশ্ব্যতা স্বীকার করিল। এ যাত্রায় ভারতের অস্ত{ষ্ঠ প্রদেশ রক্ষা পাইল । সহস। এই জয়োম্মত্ত সৈন্তের বঙ্গ যাইয় পারস্তের উপরে পড়িল । তৈমুরের এ গতি পরিবর্তনের কারণ কি তাহ কিছুই জানা যায় না, কিন্তু তিনি যে সিন্ধুনদ উত্তীর্ণ না হইয়াই পশ্চিমে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । उँोङ्ोङ्ग श्राङ्गट्छ ७ निब्रिश्न छाम्नङ्ग कjझिी অনেক লেখক লিপিয়াছেন । হিরাট (Herat) জয় ও ধ্বংস করিয়া তিনি খোরাসানের অধিপতি হন । নি কাবেীর দুর্গ অধিকৃত হওয়ার পরে জর্জিয়া রাজ্য তাহার সাম্রাজ্যভুক্ত হইল। কিন্তু পারস্ত দেশ জয় করিতে তৈমুরকে অধিক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল। সমগ্র পারস্য দেশ জয় করিতে দুই বৎসর অতিবাহিত হইয়াছিল। অবশেষে শিরাজদুৰ্গে তৈমুরের বিজয় পতাকা উডচীন হইল দেখিয় পারস্তবাসীর নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল, তখন ভুজবলে ও সদাশয় নীতির ফলে তৈমুর সমগ্র দেশ করায়ত্ত করিলেন। পারস্ত হইতে তৈমুর দুর্জয় বাহিনী লইয়া আসিয়ার উত্তরতম প্রদেশ অধিকারে অগ্রসর হইলেন । সে প্রদেশে এক মাস দশ দিন ধরিয়া অন্তহীন স্বৰ্য্য অংশুৰিকিরণ করে। সুতরাং সৈঙ্গের সহযাত্রী ইমানের অর্থাৎ ধৰ্ম্মোপদেষ্টার। সৈনিকগণকে সান্ধ্য উপাসনা হইতে অব্যাহতি দিলেন ।