পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓፃ❖ কর্তব্যই পালন করিয়াছি, ভবিষ্যতের নানা প্রকার বিপদ হইতে ভাবতকে রক্ষণ করিয়াছি।” পরে তিনি বলিয়াছেন--"দেশের এই রাজনৈতিক জাগরণকে নিরস্ত কবিবার দুইটি পথ ছিল। এক পক্ষে ভাব ত গবমেণ্ট বলিতে পারিতেন—“এ সকল নুতন ভাব আমবা গ্রাহ করিতে প্রস্তুত নহি, এ সকল ভাব ব্রিটিশ শাসনের স্থায়ীত্বের বিবোধী ।” অপর পক্ষে তাছাদের দ্যায্য তা স্বীকার করিয়া দেশবাসীর আকাজক্ষ অনুসারে শাসন বিধিপরিবৰ্ত্তিত করাই আমাদের দ্বিতীয় পথ ছিল । দ্বিতীয় পথই যে শ্রেয় পথ সে বিষয়ে আমার মনে সন্দেহমাত্র ছিল না । ০ ১ + ০ প্রথম পথ অবলম্বন করিলে আমরা ভারতে অশান্ত্রি ও অসন্তোষকেই স্থায়ীত্ব দান করিতাম।” এ সকল উক্তি শুনিলে লর্ড মিণ্টোব উদারত, স্বপ্নদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণ তার প্রশংসা না কবিয়া থাকা যায় না । তাহার সকল কৰ্ম্ম বা মত আমাদেব মনোমত না হইলেও, তিনি যে ভাবতের মঙ্গল আদর্শ সম্মুণে রাখিয়া পদে পদে ভারতবাসীর মঙ্গলসাধনেই রত ছিলেন একথা কেবল জামরা কেন, ভারতের ভবিষ্যৎ ইতিহাস চিরদিনই স্বীকার করিবে । ব্রিটিশ শাসনকৰ্ত্তাদিগের মধ্যে র্যাহারা ধৰ্ম্মপথে থাকিয়া যথার্থ প্রজাপালনে ও প্রজারঞ্জন রত ছিলেন ও থাকিবেন, লর্ড মিণ্টোর নাম সেই সকল প্রাeঃস্মৰণীয় পুরুষের সহিত সমাসনে স্থান পাইবে। এই স্থলে লেডি মিণ্টোর মহত্ত্ব ও সদাশয়তার কথাও উল্লেখ করিতে আমরা বাধ্য। তিনি যেরূপ সরল ও অমায়িকভাবে ভারতী । পৌষ, ১৩১৭ আমাদের দেশের নারীদিগের সহিত মিশিন্তেন এবং যেরূপ সহানুভূতিব সহিত নারীদের কল্যাণ কৰ্ম্মে যোগদান করিতেন, সেরূপ ञाभारमञ डाcश्र धूल श्रब्रहे घtः । ॐtशब ব্যবহারের গুণে তিনি যে কেবল আমাদের শ্রদ্ধা ভক্তি আকর্ষণ কবিতেন তাঁহা নহে, তিনি আমাদেব সকলকেই ভালবাসার বন্ধনে এমন নিবিড় কবিয়া বাধিয়া ছিলেন, যে তাছার ভাবত ত্যাগের সময় আমরা বন্ধুবিচ্ছেদের স্তfয় বেদন অনুভব করিয়াছি । তিনি ও তাহার স্বামী যখন আমাদের নিকট বিদায় লষ্টলেন তখন অশ্রু-আবেগে তাহদের দৃষ্টি আচ্ছন্ন হইয়া আসিল । রাজা প্রজায় এরূপ অস্তিরিক অসুবাগ প্রকাশ আমরা বহুদিন দেখি নাই। এই অবস্থাটি স্বায়ী হইলে আমাদের উভয়েব পক্ষেই কত সুখের ও শান্তি । কারণ হইয়া উঠে ! আমাদের নুতন লাট লর্ড হার্ডিং সম্বন্ধে আমরা এখনও বিশেষ কিছুই জানি না, সুতবাং তাহার সম্বন্ধে এক্ষণে কোনও মতামত প্রকাশ করা ও সঙ্গত হইবে না। তবে ইংলও হইতে বিদায় উপলক্ষে তিনি যে বক্তৃত। করিয়াছেন তাহ পাঠ করিলে তাহার আদশের অভাব পাওয়া যায় । কিন্তু লর্ড কর্জনের প্রসাদে আমাদের বক্তৃতার মোহ ও মৌগিক আশ্বাসের নেশা অনেকটা কাটিয়াছে। লর্ড মিন্টোকে দেখিয়াও আমরা বুঝিয়াছি যে কৰ্ম্মীর পক্ষে অধিক কথার আবশুক হয় না। তবে লর্ড ছাৰ্ডিংও অধিক কথার ছটা প্রকাশ করেন নাই। সেই জন্যই আশা হয় তাছার শাসনকালে আমরা প্রকৃত মঙ্গল কৰ্ম্মেরই পরিচয় পাইব। তাহার ৰক্তৃতার