পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । সঙ্গীতের গৌরব ও বিশ্বজয়ী শক্তি প্রমাণ কবিয়াছিলেন । পাবস্ত কপির কথা ও আসিয়া পড়িতেছে। খব তার নিদাঘে বিপণশ্রেণীব সুস্থায় স্নিগ্ধতার মাঝে হুেনাব গন্ধ, তরমুজেব সুবাস, আঙ,রেই গুচ্ছ প্রাচুর্য্য ও কিসমিদেব সরবং খুজিতে হইলে পারসিক ভূমিতে পদার্পণ তবল লোহিত মদি বাব আবি , চ্ছিন্ন আকর্ষণ এমন অব কোথায় আছে ? গোলাপী রঃেব কাজল-পুল, অঙ্কিত ল। রমণীব তরুণ মুগ শ্রী এমন স্থল দ্য কোথায় ? গ্রীষ্ম প্রধান দেশে মুনীল-উজ্জল আকাশ তলে আলোক ও হf ও সুরি মাঝে সরিৎ সরোবরেব স্রোতময়ী জলধt বা উপভোগেব সুখ, শী তার্ক জাতির কল্পনায় তেমন স্থান পান। গ্রীষ্ম ভূমিতে এই কারণেই বহিজগতের সঙ্গিত মেলামে শাপ সুযোগ বেশী ঘটে । কাজেট উদ্যান, উৎস, মুক্ত গবাক্ষ, কুঞ্জ বন, তরণী:বছবি, জ্যোৎস্না-উংসব, দক্ষিণপবন প্রভৃতির সহিত ভাবের বাণিজ্য একটু বেশী হয় ! এখানে মৃগণাভি গন্ধে, গোলাপমালোব শয্যাস্তবণ, কুঙ্কুম রক্ত গালিচ, উৎসমুপর স্ফট ক-স্নানাগার প্রভৃতির মোহিনী শক্তির আকর্ষণ বড়ই প্রবল। আহমেদের তবমুজ প্রী ত, হাফেজের প্রগাপ-মৰীচিক ও আব, চীন সামাজি কত, ও নব থৈযমে স্বপ্ন, এসব ত ক্রমশই বিশ্বময় ছড়াইয় পড়য়াছে । পল্লী-পাবগৈ প্রভৃতির মাঝে তন্ন তন্ন করিয়া পাবলিক চিত্ত সৌন্দৰ্য্য খুজিয়াছে ; এজষ্ঠ খণ্ড ও গীতিপাদ্যে ইঙ্গার সমকক্ষ জগতের কে{থী ও পাওয়া যায় না । পা বস্ত কবির যে কোন কবিতার সৌন্দর্ঘ্য জগতের করিতে হয । কাব্যে নিদীঘ-চিত্র । ৯২১ এই শ্রেণীর অন্তষ্ঠি কাব্যচেষ্টাকে স্নান করিয়া দেয় ! অপরদিকে ভারতবর্ষে এক বিচিত্র ব্যাপক রাগিণী ধবলিত হইয়াছে । অধ্যাত্মবাদী ভাব তবৰ্ষ, কবিতার মাঝে কোন থওগীতি বাঙ্গু হু করে নাই । কলারাজ্যে ব্যাপকত্বের প্রতি একটা নৈসর্গিক আকর্ষণে, চিত্তবস্তু বৃহৎকে উপলব্ধি করিয়া অংশকে তাহার সম্পর্কেই প্রচাব কবিয়াছে। প্রতি খণ্ডের সৌন্দৰ্ঘ্য সমগ্রের মাঝে তাঙ্গর সুনির্দিষ্ট আসন অনুসারে, চিন্তিত হইয়াছে। এজন্ত বর্তমান যুগে যাহাকে গীতি কবিতা বলা হয় তাছ। সংস্কৃত সাহিত্যে নাই বলিলেই হয়। ভারতে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য্যের অক্ষুরূপে হৃদয়েব পরিধি ও বিস্তুত হইয়াছে। নিবিড়তর সংযোগরজ, বমুধাকে আত্মীয়তার আলিঙ্গনে ঐক্য দিয়াছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকতর চবমের, দৃঢ় সৌন্দর্য্য গুণ্ঠনবিহীন সজ্জায় উন্মুক্ত হইয়াছে। ஆே প্রথমেই গাঙ্গসৈকত, সিন্ধুবিতস্তার বেলাবলয়, নৰ্ম্মদ কালিন্দীর ললিত লাস্তভূমি, কদম্ব বনচ্ছায় যমুনার নীলতোয়l, কাশ্মীরের স্নিগ্ধ হুদ প্রাচুর্য, চিত্ৰকূট ও বিন্ধ্যের সমারোহ ; পঞ্চবটির মহাহঁ সম্ভাব, কৈলাস ও হিমালয়ের উদার মহত্ব—এ সমস্তের সজ্জা বিস্তৃতি ও বিক্ষেপ অমাদিগকে চকিত করিয়া তোলে । পরম রমণীয়, উপভোগ্য গ্রীষ্মকে অবহেল করিয়া, ভারতে কে কথন শৈলকন্দরে লুকাইয়াছে ? ভারতের মুন্দরতম নাটক অভিজ্ঞান শকুন্তলা গ্রীষ্মকে উপলক্ষ্য করিয়াই রচিত হইয়াছে। —