পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8* दर्ष दांप्तशृ मृ३१jां । শতদল-রচয়িত্ৰী । సిసిd শতদল-রচয়িত্রী । শ্ৰীমতী সরোজকুমারী দেবী । 'শতদল” শ্ৰীমতী সরোজকুমারী দেবী-রচিত একখানি কবিতাগ্রন্থ। একশতটি ভগবদ্ভক্তি বিষয়ক ক্ষুদ্র কবিতার দলে কবির হৃদয় পদা বিকশিত হইয়াছে। কবিতাগুলিতে মুমধুর বৈচিত্র্য ও স্বাতন্ত্র্য আছে, একঘেয়ে নহে । বিধা তার করুণার উপর অটল নির্ভর স্থাপন করিয়া, জগতে সকল কাজের মধ্যে বিধাতার করম্পর্শ অনুভব করিয়া তাহারি মহিমা কীৰ্ত্তনরত কবি ‘পূজিবার শতদল” লইয়া "পবিত্র মন্দির’দ্বারে আসিয়াছেন । তাহার শতদলের মিষ্ট পৌরভে, তাহার ভক্ত্যচ্ছাসেব আন্তরিকতায় এ পুঞ্জ ব্যর্থ হইবে না। এ কথা আমরা দৃঢ়ভাবে বলিতে পারি। কবি গাহিয়াছেন,--- “আমার হৃদয় মাঝে প্রেমভক্তি দিয়t' তোমার পূজার গান রাখিব রচিয়া । পুষ্পসম যেন প্রাণ তোমার পরশে । হাসিয়া ফুটিয় উঠে মঙ্গল হরষে।” কিন্তু ‘শতদলে’র কবি আজ নুতন এ পূজার সাজি লইয়া বাণীর মন্দির দ্বারে উপস্থিত হন নাই । বহুপূর্ব হইতেই তাহার কমকণ্ঠের সঙ্গীত রবে পূজার মন্দির ভবিয়া রহিয়াছে। কবিরচিত “হাসি ও অশ্রু,” "অশোক।” প্রভৃতি বহুদিন পূৰ্ব্বেই ঠাহাকে বাঙ্গালার কাব্যসাহিত্যে প্রতিষ্ঠার আসন দান করিয়াছে। সে অtজ অনেকদিনের কথা, যখন ভারতী-সম্পাদিক মহাশয়ার তত্ত্বাবধানে সরে,জকুমারীর “হাসি ও অশ্র” প্রথম প্রকাশিত হয় । সেই এক সঙ্কোচে সরমে মৃদ্ধ সঙ্গীতের অফুট রাগিণী ধ্বনিত হইয়াছিল ! কবির প্রথম গান,— আকুল মৰ্ম্মের মাঝে, যে উন্মাদ সুর বাজে দুটি ছত্রে লিখিতে বাসন গোপন হৃদয় ছায় যে সিন্ধু উচ্ছসে হায় কি জানাৰে দুটি অশ্রু-কণা ? আজ আর সে সুর রুদ্ধ নাই, গুমরিয়া মরে না—আজি তাহা সমস্ত বtধ সমস্ত সঙ্কোচ ঠেলিয়া বিশ্ববাসীর হৃদয় স্পর্শ করিয়াছে ! “হাসি ও অশ্রু’তে কবির হৃদয়ের উদারত। ও ভাবের বিশালতা প্রথম পরিলক্ষিত হইয়াছিল । ‘সন্ধ্যার তার কা” দেখিয়া কবির ‘তুইট নয়ন’ ছলছল হইয়া আসিত—"থি স্বপ্নে ভোর’ হইয়া আসিত। ভাবের সেই প্রথম বিকাশ–কবির তুলিকায় সুন্দর ফুটিয়া উঠিয়াছে ! শতাধিক থও কবিতা—সব গুলিই কবিত্বে পূর্ণ-বিমল সহানুভূতির রসে সুস্নিগ্ধ ! “হাসি ও অশ্রু"তে বঙ্কিমচন্দ্রের ' উপন্তাপ-বর্ণিত নায়ক-নায়িকাগণের উদ্দেঙ্গে লিখিত যে কোন “সনেট’ পাঠ করিলেই আমাদিগের কথার যtথার্থ্য প্রমাণিত হইবে ! বিষবৃক্ষের কুন্দকে লক্ষ্য করিয়া কৰি বলিয়া ছেন, প্রণয় দেবতা তাই হয়ে মুৰ্ত্তিমান এসেছেন পুজা তব লইবারে পায়ে ; এইবার সপ বালা আপন পরাণ, লাজে 'না' বলিছ কেন আপন লুকারে । নীরব তোমার প্রেম দিবানিশি ঝরে ; প্রণয়-দেবতাপদে প্রেমের মন্দিরে ।” রবীন্দ্রনাথের “রাজারাণীর এবং সম্পাদিক মহাশয়ার উপস্তাসের কয়েকটি চরিত্রও র্তাহার