পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা । সে মনে করে সে কিছুই নয়, তাহার কোন শক্তি কিম্বা কোন কৰ্ম্মেব অধিকার পর্য্যন্ত নাই। সে বলে আমি তুচ্ছ মূঢ় নারী আমার দ্বারা সংসারের কোন উপকার হইবে নিত্য নিয়ত আপনাকে এই দীন হীনভাবে ধারণা করিয়া তাহার জীবনের মূল্য যথার্থই হীন হইয় পড়ে, তাহার দুর্বল ক্ষীণ হস্তে পরিবার সমাজ এবং জাতির শাসন কুশাসনে পরিণত হয় । . झांग्र ভগ্নিগণ একি ভ্রান্তি! এই অশুভ ভ্রান্তির জন্ত অtমাদের জাতির কতই ন ক্ষতি হইয়াছে। প্রত্যেক শিশু কন্যার জন্ম দিবসকে ছুঃখের অকল্যাণের নগণ্য দিন মনে না করিয়! তাহা এক এক জন বিশ্ববিজয়িনী শাসন-দণ্ডধাবিনী সম্রাজ্ঞীর জন্মোৎসব স্বরূপ শুভ অমুষ্ঠান সমূহে পরিপূর্ণ করা কর্তব্য। এই জন্মের আনন্দ বাৰ্ত্ত চারিদিকে প্রচার করিয়া অতি শিশুকাল হইতে তাছাকে আপন রাজকীয় শক্তি" অনুভব করিতে শিক্ষা দান করা আবখ্যক । যাকাতে ভবিষ্যত অভিষেকের দিনে সে অtপনাব সঞ্চিত সমগ্র শক্তির প্রভাবে সেই মহাভাগ্যের যোগ্য হইতে পারে। আমাদেব জীবনের উদ্দেশু সাধনের জন্ত এবং আত্মমর্য্যাদাবোধ বিকাশের জন্ত প্রথমে * জামি আছি’ পরে "আমরা আছি” এই মন্ত্র জপ করিতে হইবে। এই মন্ত্র সাধনায় আমাদের হৃদয়-যতই বিকশিত হইতে থাকিবে আমাদের মনে স্বতঃই প্রশ্ন উদিত হইবে "কেন আছি’ ? আমার ব্যক্তিগত এই নারী জীবনের কর্তব্য এবং উদ্দেশু কি ? সমাজে আমার এই নারী অস্তিত্বের সার্থকতা কি ? এই যে ভারত মহাবর্ষে জন্ম গ্রহণ করিয়াছি তাহ সার্থক করিব ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল । У е в 2 ८कमन कब्रिब्र, ८कमन कब्रिग्नाँहे ब| विश्वनांझैौসমাজের সমকক্ষ গৌরব রক্ষা করিতে পারিব? আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যের প্রশ্ন গুলি হৃদয়ে উদয় হইবার পরে ক্রমে কেমন করিয়া সে উদ্দেগু সার্থক হওয়া সম্ভব তাছারি চেষ্টায় আমরা অগ্ন প্রাণিত হইব। এই উদ্দেগু সাধন করি বীর উপায় আবিষ্কার করিতে দূরে যাইতে হইবে না, জড় প্রকৃতি জীবদেহে কেমন করিয়া অtপন কার্য্য প্রণালী নিয়মিত করে তাহা বুঝিয়া দেখিলেই আমরা অামাদের পথ দেখিতে পাইব । জীবদেহের স্নায়ু মণ্ডলীর গঠন এবং কার্য্য পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে দেখা যায় ইহা তিনটি পদার্থ যোগে নিৰ্ম্মিত—যথ ইন্দ্রির, স্নায়ু এবং মাংসপেশী। বাঙ্গিরের সংস্পর্শ যখন কোন জ্ঞানেন্দ্রিয়কে আঘাত কবে তখন সেই স্পর্শের উত্তেজনায় সেখানে পরিবর্তন ঘটে। সেই পরিবর্তনের স্রোত স্নায়ুদ্বারা বাহিত হইয়ু মাংসপেশীতে নীত হয়। তাহার ফলে কঠিন পদার্থের সান্নিধ্যবশতঃ আমাদের দেহ সঙ্কুচিত হয়। আমরা সেই কাঠিন্তের আঘাত বাচাইবার জন্ত আপনাকে সতর্ক করি । মায়ুমণ্ডলী প্রধানতঃ পেশীসঞ্চালক স্বক্ষ শিরা দ্বার গঠিত, এই সূক্ষ্ম শিরাগুলিব দ্বারা মাংসপেশীতে বাহিরের উত্তেজনা বাহিত হয় । মানব জগতেও তেমনি কতক লোক আছেন র্যtহার অtমাদের দৈহিক ইন্দ্রিয়ের দ্যায় বহির্জগৎ হইতে ভাব সংগ্রহ করেন, ংযোজক পন্থ দ্বার। সেই ভাবগুলিকে অপর কাহারও কাছে উপস্থিত করিলে আবার কতক লোক আছেন র্যাহার মাংসপেশীর দ্যায় দেই ভাবকে কার্য্যে পরিণত করিতে