পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ8५ ६६, श्रीन* म९था । পারেন না কেননা আজিও তিনি নিরক্ষর । সংসার ও জগৎ সম্বন্ধে কোনই অভিজ্ঞতা না থাকায়, নিতান্ত পারিবারিক ব্যাপার ছাড়া আর কোন বিষয়ে স্বামীকে পরামর্শ দেওয়ার ক্ষমতা তার নাই বলিলেই হয়। * অতীত কালের ভগিনীদিগের দ্যায় আজ র্তাহার সে সাহস নাই যাহার বলে তিনি আপন স্বামীকে অধৰ্ম্মের পথ হইতে নিবৃত্ত করিতে পারেন। হিন্দু রমণীর হৃদয়ে সে তেজ সে বিজ্ঞতা আঙ্গ কোথায় যার প্রভাবে প্রত্যাখ্যাত শকুন্তলা দুল্যস্তকে বলিয়াছিলেন “তুমি যদি মনে করিয়া থাক আমি একক অসহায় তবে আপন অন্তর্যামী বিধাতাপুরুষকে জাননা। তিনি তোমার অদ্যায় জানিতেছেন–র্তাহার দৃষ্টি সম্মুখে তুমি পাপকারী। পাপ করিয়া অজ্ঞ মমুস মনে করে তাছা বুঝি কেহই জানিতে পারিল না ; কিন্তু দেবতাগণ এবং অন্তর্যামী পুরাণ পুরুষ তাহার পাপের নিত্য সাক্ষা” । কোন আধুনিক মুখ ভারু দুৰ্ব্বল রমণীর মনে উপরোক্ত কথা বলিতে সাহসে কুলায়না । বৰ্ত্তমান নারীগণ সাহস এবং গম্ভীর ধৈৰ্য্যের সহিত না পারেন বিপদ বহন করিতে, না পারেন দুৰ্ব্ব্যবহারের প্রতিকুলত করিতে। বিপদসঙ্কুল সংসারসমুদ্রের কাণ্ডারী হওয়াত দূরের কথা তিনি আজ কাল স্বামীর বন্ধু নামেরও যোগ্য নহেন।”

  • স্বামীর নৈতিক ব্যবহার অনেক পরিমাণে স্ত্রীর কল্যাণপ্রভাবের উপর নিভর করে । অঙ্ক একজন পুরুষ বলিয়াছেন “ভারত নারী অশিক্ষিত হওয়ায় শিক্ষিত পুরুষগণ তাহাকে আপনাদিগের যোগ্য সঙ্গিনী মনে করেন না কাজেই তাছাদের বিবাহিত জীবন

पछtब्रड लैो भश्tभ४ठ । ১ গু উ ৫ নৈতিকশক্তি বিহীন । স্ত্রী যদি সহধৰ্ম্মিণী সহকর্মিণী না হইয়া কেবলমাত্র বিলাস এবং উপভোগের সামগ্ৰী হয় তবে গৃহের মঙ্গল প্রভাব নষ্ট হইয়া যায় । গার্হস্থ্য জীবনের এই হীন অবস্থা দাম্পত্য সম্বন্ধকে নিতান্ত কলুষিত করিয়া ফেলে—এই নিমিত্তই ভারতবর্ষীয় পুরুষগণ দিন দিন হীনচরিত্র এবং ধৰ্ম্ম সম্বল শূন্ত হইয়া পড়িতেছেন।” স্বামীকে ধৰ্ম্ম এবং মহত্বের পথে উৎসাহিত করাই পত্নীর প্রধান এ 1ং শ্রেষ্ঠ কৰ্ত্তব্য—অশিক্ষিত হইলে ইহাতে অকৃতকাৰ্য্য হওয়া ও তৎফলে দুঃখ পাওয়া অবশুম্ভাবী । শিশুর শিক্ষা সম্বন্ধে আমরাত বিশেষরূপে জানি ক্ষুদ্র শাখা যেদিকে আনত হয়—বৃহৎ মহীরুহ সেই দিকেই ঝুকিয়া থাকে। পরজীবনে সংশোধন চেষ্টা সৰ্ব্বথা বৃথা হয় । মাত স্বয়ং যদি সংযম, বাধ্যতা, সত্যবাদিত, আত্মরক্ষা এবং স্বাস্থ্য. রক্ষার শিক্ষা না প্রাপ্ত হয়েন তবে কেমন করিয়া সস্তানকে সে শিক্ষা দান করিবেন ? সস্তানের যথার্থ শুভজ্ঞানবিরহিত সস্তান স্নেহ ভারতবর্ষীয় গৃহে অকল্যাণের বীজ । পতির কোন জুরাহ উদার কর্তব্য ও চিন্তার অংশে ভাগগ্রাহিতাশূন্ত পতিপ্রেম ভারতীয় দাম্পত্যে শনির গ্রহ । স্বাস্থ্য নিয়ম, পরিচ্ছন্নত ও সময়ের মুল্য জ্ঞানহীন গৃহকাৰ্য্য পরায়ণতা ভারতে গাহস্থ্যধৰ্ম্মের অঙ্গহানিত । অবগুণ্ঠনে মুখ আবৃত করিয়া লজ্জার পরিচয় দ্বান অথচ অশ্লীল বাক্যব্যবহার এবং অশ্লীল সঙ্গীত গান করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠাবোধ না করা ভারতে নারীত্বের কলঙ্ক । নারীগণের বিবেচনা হীন অযথা দান যথার্থ পক্ষে