পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੲੋਵੇ। ৩৪শ বর্ষ ] অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ [ ৮ম সংখ্যা ভাবসাধন । চিরকাল যাহার সঙ্গে আড়ি করিয়া বসিয়া অাছি, আজি হঠাৎ ‘এস’ বলিয়া তাহার দিকে কর প্রসারণ কধিলেই যে সে যাইবে এমন কথা কে বলিল ? ঘরের শিল্প, তাহার সঙ্গে ভাব রাথিবীর কোন পন্থ, কোন ইচ্ছ। আমরা এতকাল রাখি নাই, আমাদের শিক্ষা দীক্ষা সমস্তই নিজস্ব শিল্পে ব সঙ্গে ভাবের অভাব ঘটাইবার জন্তই এতদিন প্রয়োগ করিয়া আসিতেছিলাম, আজ সথ হইয়াছে ভাব করিব কিন্তু তাহ হয় কই ? এখন সাধিয়া হাতে পায়ে ধরিয়া ভাব করা ছাড়া তো উপায় নাই । শিল্প তো সখের খেলনা নহে, সাধনার বস্তু। রভুহীর নির্জীব পদার্থ, তাহাকে যখন ইচ্ছ। টানিয়া ফেল, যখন ইচ্ছা কণ্ঠে ধর । কিন্তু বন্ধুব বাহুপাশের মত পুৰ্ব্বপুরুষগণের ভাব সঞ্জীবিত যে শিল্প তাহাকে আজ টানিয়া ফেলিলে কাল চাহিবামাত্র ফিরিয়া পাওয়া তুষ্কর । ভা ও ব সহজ দুইটা অক্ষর যে টানকে বুঝায় মনে সেটার অভাব থাকিতে প্রাচীন ভারতশিল্পট যে আমাদের যত্নের অাদরেব ও গৌরবের সামগ্ৰী এটা আমরা কিছুতেই বোধ করিতে পারিব না, সুতরাং এ অবস্থায় আমাদের শুষ্টয়া তাহাকে বুঝিতে অথবা বুঝাইতে যাওয়াই বিড়ম্বন । ঠিক কোন ভাবে ভারতশিল্পট। গ্ৰহণ কবির তাহ বোঝা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হইয় পড়িয়াছে । আমবা দেখিতেছি যে পাশ্চাত্য শিল্পটা যেমন অবাধে অামাদের কাছে ধরা দিতেছে মনে হইতেছে, ভাবতশিল্পটা সেরূপ করিতেছে না । শিল্পেব যে একটা গুণ সহজে সাধারণের বোধগম্য ও মনোরঞ্জ ক হওয়া যেন সেই গুণের অভাব ভারতশিল্পে লক্ষ্য করিয়া আমরা ভারতশিল্পকে নানা দোষদুই অপরিণত এবং অসম্পূর্ণ বলিয়া বোধ করিয়া থাকি ; কিন্তু আমাদের নিকট কষ্টসাধ্য হইয় পড়িয়াছে বলিয়াই যে সকল সময়ে ভারতশিল্পটারই দোষ বলিতে পারি না, এ বিষয়ে আমাদের নিজের দিকে ও যে ভারতশিল্পকে বুঝিবার একটা প্রকাণ্ড অক্ষমতা জন্মিয়াছে সেটা আমাদের স্বীকার করিতেই হইবে । অল্পকালই হইল আমরা পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে পড়িয়াছি এবং এই অল্প কালের মধ্যেই প্রাচীন ভারতবাসীর ভাব গতিকের সহিত আমাদের ভাবগতিকের একটা প্রচণ্ড বৈপৰীত্য সংঘটিত হইয়াছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা যেমন করিয়া যে কাজটি করিতেন, যে সকল বিষয় লষ্টয় একথা