পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WrQb বাড়ীটার চারিদিকের যে সবুজ শোভা দূর হইতে দর্শকের চক্ষুকে আকর্ষণ করিত সেই স্যামস্নিগ্ধ কোমল চিকুণত অপ্রিয়দর্শন কঠোর কাষ্ঠপ্রাচীবের বেষ্টনে বেষ্টিত। দেখিলেষ্ট জেলখানার দৃপ্ত মনে পড়ে। গাড়া চলিলার রাস্তাটা---শুষ্ক পত্র ও আগাছায় পরিপূর্ণ। বাড়ীটার চারিদিকেই কেমন একটা তাচ্ছিল্ল্যপূর্ণ নিরানন্দের ভাব, বাতাসটাও যেন দুঃখেব ভরে ভাবাত্রান্ত । ফটকে দুই তিন বাব ধাক্কা দিবার পর একজন দাসী আসিয়া ফটক খুলিয়া দিল, এবং দুই তিনটি ঘর পর ইয়া একটি ছোট ঘবেব ভিতরে আমায় লইয়া গেল। ঘবেব ভিতব একখানা সোফার উপর একটী স্ত্রীলোক বসিয়াছিলেন, ইনিই মিসেস হিথারষ্টন্‌ ৷ রমণীর বিবর্ণ মন মুখে, জ্যোতিষ্ঠান নেত্বের করুণ কটাক্ষে, অকালপক্ক রজত কেশবাজিতে, এবং তাচ্ছিল্যপূর্ণ বেশভূষায় সেই দুঃখপূর্ণ প্রাসাদটর সহিত সামঞ্জস্তই বিধান করিয়াझ्दिा । অত্যন্ত মৃদু শাস্তস্বরে মিসেস হিথারষ্টন ধছিলেন "ডাক্তার – আপনি বোধ হয় বুঝতে পেরেছেন, আমব ভারী কষ্টে পড়েচি, কিছুদিন থেকেই আমার স্বামীব শরীর অত্যন্ত থাবাপ হয়েছে - সেইজন্তে আমরা এই শান্তিপুর্ণ নির্জনত তার স্বাস্থ্যরক্ষাব উপযোগী, ভেবে এখানে এসেছিলাম,--আমর ভূল বেচি ডাক্তার,— এখানে তার স্বাস্থ্য ভাল থাকা দূরে থাক্ দিন দিন তিনি ভয়ানক দুৰ্ব্বল কয়ে যাচেচন । আজ সকালে তার জর হয়েছে- এমন প্রবল জব--যে অtমি ও ছেলের ভয় পেয়ে আপনাকে ডাকতে পাঠাই, ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ —আসুন তাকে দেখে যা হয় উপায় স্থির করুন,--বোধ হয় বিকার হয়েচে।” উদ্বেগ ও আশঙ্কায় রমণীর কণ্ঠস্বর কম্পিত হষ্টতেছিল । কয়েকটি দালান ও ঘর পার হইয়া, আমরা একটা আস্ববিহীন কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করিলাম। এ ঘরখানি একেবাবে বাটীর শেষ প্রান্তে অবস্থিত। কক্ষতলে গালিচা নাই। গৃহসজ্জাও যৎসামান্ত,— একপাশে একটা চৌকা টেবিল, টেবিলের উপর কতকগুলা বাধান স্বর্ণাক্ষর যুক্ত পুস্তক, কাগজ পত্র, এবং একটা বৃহদাকার বস্ত্রাচ্ছাদিত পদার্থ। টেবিলের অদূবে একখানা কোঁচের উপর শয্যায় রোগী শায়িত । কক্ষ মধ্যে কোন মূল্যবান গৃহসজ্জা না থাকিলেও কক্ষগাত্রে এবং ঘরটির চারি কোণে নানা আকাবেব নানাবিধ অস্ত্ৰ শস্ত্র সজ্জিত ছিল। কতকগুলা ছোরা, কাটারী এবং ভারতীয় ও এসিয়াদেশজাত বহু প্রকারের বহুতব অস্ত্রাদি ; কতকগুলি কাটাবির বঁট ও তরবারির খাপ বহুমূল্য প্রস্তর ও সুবর্ণের কারুকার্য্যযুক্ত। এক এক খানি তরবারির থাপে এমন সব সূক্ষ্ম কারুকার্য্য খচিত যে দেখিলেই তাহা কোন উন্নত সৌধীনর চি সৈনিকপুরুষের দ্রব্য বলিয়া সহজেই অনুমান হয়। কক্ষসজ্জার হীনাবস্থা এবং কক্ষগাত্রের অস্ত্ৰ শস্ত্রাদির মহার্যত, যুগপৎ দর্শকের চিত্তে বিষম বৈষম্যের পরিচয় প্রদান করিতে থাকে। জেনারলের এই সকল সখের দ্রব্য সম্বন্ধে আলোচনা করিবার আমার সুযোগ ঘটিল না। জেনারলকে দেখিবামাত্রই আমার মনে হুইল