পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা সম্মুখে যে কি উত্তালতরঙ্গ, কি ভীষণ সংগ্রাম, কি শোচনীয় ভবিষ্যৎ তাহীদের জন্য অপেক্ষ করিতেছিল তাহা তাহীদের জানা ছিল না । তাহার। তখন ভবিষ্যৎ স্বৰ্থেব আশায় মোহমুগ্ধ। আর তাহদের মালিকগণও তাহদের সম্মুখে ভবিষ্যতের এক মোহন ছবি অঙ্কিত করিয়াছিলেন । দারিদ্রোর কশাঘাত যে বড় ভীষণ । ভাবতবর্ষে ভারতবাসী দরিদ্র, কিন্তু বিদেশী আসিয়৷ এই ভারতবর্ষ হইতেঙ্গ মণিমুক্ত খুঁডিয়া লইয সম্পদশালী হইতেছে। ভবিতবাসী “নিজ বাসভূমে পরবাসী,” তাই অহীর অন্বেষণে তাঁহাকে ছাড়িয়া যাইতে হইল। Cúsi নেটাল তখন ইংরাজ সাম্রাজ্যভুক্ত । খনির ইংরাজ মালিকগণ ও অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ মজুরদিগের বসবাসেল নানা প্রকার স্ববিধ কবিয দিলেন। চুক্তির সময উত্তীর্ণ হইযা গেলে তাহাব স্বাধীনভাবে জমিজম লইতে পরিবে, চtসবাস ও ব্যবস বাণিজ্য কবিতে পাবিবে এই অধিকার প্রদান করিলেন। ক্রমে মজুবদিগেব সহিত বণিক ভারতবাসী স্বাধীনভাবে ব্যবসা বাণিজ্যেব জন্য নেটলে গমন করিতে লাগিলেন । ,ণটালে এক শ্রেণীব ভারতবাসীব সংখ্যা যত বুদ্ধি পাইতে লাগিল তাহার তত দক্ষিণ আফিকার অন্যান্য দেশে গিয়৷ ব্যবসা কবিতে উৎসুক হইলেন । একদল ভাব তবাসী স্বাধীনভাবে ব্যবস বাণিজ্যের জন্য মেটালের সীম অতিক্রম করিয়৷ ট্রান্সভালে প্রবেশ করিলেন। ট্রান্সভাল নেটালেব নিকটবৰ্ত্তা আর একটি প্রদেশ । ইহ। তখন বুয়ারের অধান উপনিবেশ ছিল । মিতাচারী, পরিশ্রমী, শান্ত এবং সচ্চরিত্র বলিয়া ভারতবাসীগণ ঐ সকল প্রদেশে স্বাধীনভাবে ব্যবস বাণিজ্যে এতদূর উন্নতি লাভ করিলেন যে তাহদের দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশের কুড়ি বৎসরের মধ্যে নেটালের ইংরাজ ও ট্রান্স ভালের বুয়ারগণ দেখিলেন ভারতবাসীর সহিত প্রতিষোগিতায় তাহার পরাজিত হইয়। যাইতেছেন । তখন তাহীদের স্বার্থে প্রবল আঘাত লাগিল । বণিক জাতি পকেটে টান পড়িলেই ক্ষেপিয় উঠে। সেই সময় হইতে আজিকার এই ভীষণ সংগ্রামের স্বত্রপাত হইল। ভারতবাসী যাহাতে স্বাধীনভাবে দক্ষিণ >& সাময়িক প্রসঙ্গ # avరిd আফ্রিকায় বসবাস, ব্যবস বাণিজ্য এবং কলকারখানা চালtইতে ন পারেন তজ্জন্য ঠাহীর নানরূপ আইন বিধিবদ্ধ করিতে আরম্ভ করিলেন। দক্ষিণ আফিকার তাহাব। ভারতবাসীকে কেবল মাত্র কুলিরূপেই চাহেন,—কেননা ভারতবর্ষাৎ কুলি ন হইলে তাহীদের ব্যবসাবাণিজ্য আচল –কিন্তু সেখানে স্বাধীন ভারতবাসীর অস্তিত্ব তাহদের অসহ । স্বাধীন ভারতবাসীকে দক্ষিণ আফি কী হইতে তাড়াইবার জন্য তাহার নানা প্রকার ঘুণ্য তাইন করিয়া যে অ তা’চীর সুরু করিয়া দিলেন তাহাবই দূরীকরণ চেষ্টা ইংবাজের সহিত বুয়ার যুদ্ধের অন্য তম কাবণ । অনেকেক একথা জানেন ষে এই বাৰ্ত্তী ঘোষণা যে ভাবতবাসীর প্রতি বুয়াবগণ যে অত্যাচার কবিতেছেন তাহ দুব করাষ্ট আমাদের এই ভাব তবাসী আমাদের প্রজl. তাহাদেব প্রতি অত্যাচার কি আমরা সহ্য করিতে পাiব ? বু্যাবদিগকে পৰাজিত কবিয আমরা দক্ষিণ বুয়ার যুদ্ধের প্রারস্তে ইংৰাজ কবিয়ছিলেন যুদ্ধেব প্রধান কারণ । আদি কায় যে শাসন প্রণালী প্রতিষ্ঠিত করিব তাহ। ভাব তবাসীর সকল দুঃখ দূর করিবে, ভারতবাসীর প্রতি স্থশাসনে তাহদের স্বথ সমৃদ্ধি বুদ্ধি করিয়া দিবে । তাহার। অজস্র অর্থ ব্যয় করিয়া অগণ্য সৈন্য প্রেরণ করিয়া নিজেব দেশের বtছ। বাছা বীর পাঠাইয়। আমাদেরষ্ট মৰ্য্যাদা রক্ষার জন্য বুয়ারদিগের সহিত ভীষণ সংগ্রামে রত হইয়াছিলেন । এই সংগ্রামে ভারতবাসী নানা প্রকার অসুবিধার জন্য যদিও যুদ্ধ কবিতে সক্ষম হন নাই কিন্তু মিঃ গান্ধির নেতৃত্বাধীনে প্রায় এক হাজার ভারতবাসী ইংরাজদিগের পক্ষে থাকিয়! আtহতদের সেবীয় ভার লইয়াছিলেন। তাহার। জ্বলন্ত গোলার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া, কালান্তক অগ্নিবৃষ্টি অগ্রাহ করিয়া রণক্ষেত্র হইতে আহত যোদ্ধাদিগকে থাটিয়াতে করিয়া বহন করিয়া আনিতেন । সে সময় তাহাদের অকুতোভয়ত, অক্লান্ত উৎসাহ, অকুণ্ঠ সাহস দেখিয়া ইংরাজগণ চমকিত হইয়াছিলেন এবং এই আত্মত্যাগের ফলে যুদ্ধের পর কয়েক বৎসর ভারতবাসীগণের