পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ম্যারিগন্তান”—এই সৈনিকোচিত নামটী মঠাধ্যক্ষের বেশ উপযোগী হইয়াছিল। সন্ন্যাসী দীর্ঘাকৃতি, কৃশ, ধৰ্ম্ম লইয়া উন্মত্ত্ব, ধৰ্ম্মের ভাবে বিভোর ও শুদ্ধাত্মা । তাহার বিশ্বাস স্থির, অচল, অটল। তাহার মনে বিশ্বাস ছিল যে, তিনি ঈশ্ববকে সমৃ্যকভাবে উপলব্ধি করিয়াছেন, তাহাব অভিসন্ধি, ইচ্ছা ও কাৰ্য্য তাহার अख्रांड नाहे । - - যখন তিনি গির্জার প্রশস্ত গ্রাম্য পথে দীর্ঘ পাদক্ষেপূ. করিয়া বেড়াইতেন তখন মধ্যে মধ্যে র্তাহার মনে পশ্নের উদয় হইত, —“ঈশ্বর এটা এমন করলেন কেন ?” এবং এই প্রশ্ন মনে উদিত হইবার পরই তিনি নিজেকে ঈশ্বব. কল্পনা করিয়া সে প্রশ্লেব মীমাংসা করিতে প্রয়াস পাইতেন ; এবং মীমাংসাও করিয়া ফেলিতেন। তিনি সাধারণ ধায়িক লোকের মত কখনও বলিতেন না যে, ঈশ্বরের অভিপ্রায় তাহার স্থায় ক্ষুদ্রবুদ্ধি মানবের উপলব্ধি করিবার সামর্থ্য নাই। পরস্তু তিনি বুলিতেন,—“আমি ঈশ্বরেব দাস ; তার স্বষ্টির কারণ আমার জানা উচিত ; যেটLনা জানি সেটা জানতে চেষ্টা করাও উচিত।” র্তাস্থার মনে হইত প্রকৃতুির সমস্ত বস্তুরই একটা অকাট্য ও প্রশংসনীয়, কারণ আছে, আর সেই উদ্বেপ্তেই তাহার স্বষ্টি। “কেন” এবং "কারণ” এ-দু’টাে কথা তাহার নিকট চাদিমা • প্রায় সমানই হইয়া পড়িয়াছিল। তিনি স্থির করিয়াছিলেন আমাদের জাগরণকে আনন্দময় করিবার জন্ত উষা, শস্ত পাকাইবার জন্য দিন, তাহার উপর জলসেচনার্থ বৃষ্টি, বিশ্রামের ধৰ্ব্বমুহূৰ্ত্ত জানাইবার জন্ত সন্ধ্যা এবং নিদ্রার জঙ্গই কৃষ্ণবাত্রির স্বষ্টি হইয়াছে ; এবং ষড় ঋতুর স্বজন হইয়াছে কেবল চাষেব কাজের সারা বছবের আবগুক পূর্ণ করিবার জন্ত। প্রকৃতির তাবৎ পদার্থের যে একটা স্বতন্ত্র উদ্দেগু নাই এবং পদার্থনিয়মের দারুণ আবশুকতাই যে স্বষ্টির প্রধান কারণ এরূপ সন্দেহের ছায়াপাত তাঙ্গর হৃদয়ে কখনও হইত না। তিনি রমণীকে কৃপার চক্ষে দেখতেন । এবং নিজের অজ্ঞাতসাবে তাহাদের ঘৃণাও করিতেন ;–এটা তাহার স্বভাবের মধ্যে দাড়াইয়া গিয়াছিল। “রমণী, তোমাকে আমার প্রয়োজন কি ?”— খুষ্টের - এই উক্তিটা তিনি আপনার মনে মনে প্রায়ই বলিতেন ; আবার বণিতেন,—“বোধ হয় ভগবানও তার এই স্বঃ জীবট স্বজন ক’রে সন্তোষ লাভ করতে পারেন নি! কবির কন্দৰ্প শিশুকে, যে অপবিত্র বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন তাহার মনে হইত, রমণী তাহা অপেক্ষাও অপবিত্র,—তার সবটুকুই , অপবিত্র। জগতের প্রথম পুরুষকে ত রমণীই । প্রলোভনp.দেখাইয়া পতনের পথে লইয় গিয়াছিল! এখনও সে প্রলোভন দেখান ছাড়ে নাই ; সকল বিপদ,

  • কৃতজ্ঞতার সহিত স্বীকার করিতেছি যে, বিখ্যাত ফরাসী গল্পলেখক Guy De Maupassant এর গল্পের অনুবাদক Mrs Ada Galsworthy আমাকে এই গল্পটি বাঙ্গলায় অনুবাদ করিতে অনুমতি দিয়াছেন।