পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা -কাৰ্য্যসিদ্ধি” এই তাহার উপদেশ। এই সুপরামর্শ অগ্রাহ্য করিয়া সেনাপতি তাড়তাড়ি রণে মাতিয়া গেলেন, শীঘ্রই তাহার বিষম ফলভোগও করিলেন। পাণিপন্তের যুদ্ধের পর মহলাররাও মধ্যহিন্দুস্থানে স্বরাজ্যের ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলাবন্ধনে কতিপয় বৎসর অতিবাহিত করেন—তাহার তাঁহাতে সম্যক সিদ্ধিলাভ হইয়াছিল। কেন না মহলার রাও উদারচেতা, বিনয়ী অথচ দৃঢ়মতি, অশেষ গুণসম্পন্ন নবপতি ছিলেন। রণে যেরূপ সাহস ও বীরত্ব, রাজ্য শাসনেও সেইরূপ তাহার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল ৷ ৭৬ বৎসর বয়সে র্তাহার মৃত্যু হয় । অহল্যাবাই মহলারর ওএর পুত্র খণ্ডেরাও পিতার আগেই মৰণ প্রাপ্ত হন, তাঙ্গর পৌত্র মালিরাও তাছার উত্তৰাধিকারী। মালিরাও নিৰ্ব্ব দ্ধি ক্ষিপ্তপ্রায় ছিলেন, অধিক কাল রাজ্য ভোগ করিতে পারেন নাই। মালিরাও এর মৃত্যুর পর তাহার মাতা খ্যাতনামা অহল্যাবাই রাজ্যভার গ্রহণ করেন । তুকাজিরাও র্তাহার সেনাপতি । উভয়ে মিলিয়া অশেষ ক্ষমতা ও দক্ষতা সহকারে ৩০ বৎসর কাল রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করেন । তুকাজীর দক্ষিণাত্যে অবস্থান কালে সাতপুর শ্রেণীর দক্ষিণস্থ সমস্ত প্রদেশের তত্ত্বাবধান করা, করদ রাজ্য সকল হইতে কর আদায় করা, এ সকল অহল্যাবাই করিতেন । যখন তুকাজী উত্তর হিন্দুস্থান পরিদর্শনে গমন করিতেন, তখন মালব নিমার প্রভৃতি প্রদেশের সমগ্ৰ কাৰ্য্যভার রাঞ্জীর হস্তে আমার বোম্বাই প্রবাস ゞ)*○ সমপিত—সমুদায় দাক্ষিণাত্যে র্তাহার শাসন বিস্তৃত। রাজকোষ র্তাহার হস্তাধীন–রাজ্যের আয় ব্যয় হিসাব নিয়ম পূৰ্ব্বক রক্ষিত হইত। কোন গুরুতর রাজকাৰ্য্য উপস্থিত হইলে তুকাজী রাজ্ঞীর পরামর্শ ভিন্ন কাৰ্য্য করিতেন না এবং পররাজ্যে যে সকল কৰ্ম্মকর্তা নিয়োগ করিতে হইত, তাহ অহল্যাবাই স্বয়ং করিতেন। র্তাহার অনুপম নয়কৌশলে পররাজ্যের সহিত মিত্রতা-গ্রন্থির কোন শৈথিল্য ঘটে নাই । এদিকে আবার স্বরাজ্যে প্রজাদের সুখশান্তিবদ্ধনেও তাহার অশেষ যত্ন। একদিকে অতিরিক্ত করভার হইতে রায়তদের অব্যাহতি দান, অন্যদিকে জমিদারদের স্বত্ত্বরক্ষণ, এই দুইদিক রক্ষা করিয়া চলিতেন। রাজ্ঞী যেরূপ প্রজাবৎসগl, প্রজtধাও র্তাহাকে নীতি প্রজ্ঞা-মূৰ্ত্তিমতী জননী সমান শ্রদ্ধা ভক্তি করিত। তিনি অর্থ প্রত্যৰ্থাদিগকে আদালত পঞ্চায়ৎ অথবা মন্ত্রীবর্গের বিচাবে সঁপিয়াই নিরস্ত থাকিতেন না, যথা নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশ্য দরবারে স্তায় বিতরণ করিতেন—যাহার যে কোন আবেদন তাহ স্বকৰ্ণে শ্রবণ করিয়া যথোচিত প্রতিবিধানে তৎপর ছিলেন, শক্তের ভক্ত হইয়া দুৰ্ব্বলের প্রতি অন্তায় পীড়ন অনুমোদন করিতেন না, স্ত্রীজন চিত্ততোষী তোষামোদও র্তাহাকে দ্যায়মার্গ হইতে বিচলিত করিতে পারিত না । এই রূপবতী, গুণবতী, ধৰ্ম্মনিষ্ঠ রাজ্ঞী মহারাষ্ট্র দেশকে শোকসাগরে ভাসাইয়৷ ১৭৯৫ অব্দে ষাট বৎসর বয়সে সংসার যাত্র হইতে অপস্থত হন। সেনাপতি তুকাজিকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করিতেন কিন্তু কি করেন--