পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা উপর শয়ন করাইয়৷ দিলাম। এই ঘটনায় এসথার তাহার অভিভূত অবস্থা হইতে অনেকটা যেন সজাগ হইয়া উঠিল । টেবিলের উপর হইতে এক গ্লাস মদ ঢালিয়া আনিয়া দিলে—আমি সেটুকু মরডণ্টকে খাওয়াইয়া দিলাম। তাহার ফলে মুখে রক্তেব সঞ্চার ও অর্থহীন নেত্রে আবাব যেন অনুভূতির ভাব ফিরিয়া আসিতেছিল। মরডণ্ট উঠিয়া বসিলেন এসথরের দক্ষিণ হস্তথান তাহীর দুই কম্পিত হস্তে এমন ভাবে চাপিয়া ধরিলেন যে মনে হইল, তিনি যেন কোন নিষ্ঠুব দুঃস্বপ্নকে তাড়াইয়া দিয়া বাস্তবেব আশ্রয় লষ্টতে চান। আমি কছিলাম “তোমার বাবা—তিনি কোথায় ? তার কি হয়েছে ?” “তিনি চলে গেছেন। করপোরাল রুফাসস্মিথও তাব সঙ্গে সঙ্গে গেছে। আমবা 'আব কখনও তাকে দেখতে পাবনা ।” মরডণ্ট ফুকারিয়া বালকেব মত কাদিয়া উঠিল । আমি বাধা দিয়া বিবক্তিপূর্ণশ্বরে বলিয়া উঠিলাম “চুপ চুপ।। “গেব্রিয়েল আর তোমাদেব মা । তাদের কি হোল ?” মরডণ্ট কহিল “গেব্রিয়েল কিছুই জানে না । অভাগিনী সে বাড়ীর শেষ প্রাস্তে ঘুমুচ্চে সকালে উঠে শুনবে। ...ম। আমার চিবছঃখিনী মা—তিনি এম্নি একটা ঘটনার জন্তেই বহুকাল থেকে অপেক্ষা করে আছেন.ম আমার—কিছুই আশ্চৰ্য্য হন নি, তার অসীম আত্মসংযম আমার শিক্ষণস্থল হওয়া উচিত ছিল— কিন্তু এতদিন প্রতীক্ষা করার পর –অাজকের আমি পাগল হয়ে গিছলেম।” চেয়ার টানিয়া লইয়া ললাটে হস্তঘর্ষণ করিতে করিতে সৌধ রহস্ত లిe ) আমি কহিলাম --*যদি সকাল না হওয়৷ পর্য্যন্ত কোন উপায় না থাকে আমায় সব কথা ততক্ষণ খুলে বল। কি ঘটনা ঘটুল ?” কম্পিত হাত দুইখানা বক্ষে বদ্ধ করিয়া মরডণ্ট আমাব পানে চাহিল “সব কথাই তোমায় বলব,—তোমার জানা আছে বোধ হয়,বাবার যুবাবয়সের কোন অন্তায় কাফেব জন্ত আমবা প্রতি মুহূর্বে প্রতিশোধ প্রতীক্ষা কর্ছিলেম। সেই অপবাধের সঙ্গে করপোবালের ও যোগ ছিল । কাল সকাল বেলা যখন আমি দেখলুম বাবা তার আফগান যুদ্ধেব সময়কার পুবোণ পোষকট বার করে পবেচেন—তখনি আমার মনে হোল বুঝি আমাদের কল্পিত বিপদের ঘনমেঘ এইবার সত্যের আকার ধরে মাটিতে নেমে এলে । তিনি তার প্রথম জীবনে ভারতবর্ষে অবস্থানকালের অনেক কথা গল্প কচ্ছিলেন, বেশ শাস্ত ভাবেই গল্প কচ্ছিলেন। রাত্রি ৯টার সময় তিনি আমাদের নিজের নিজেব ঘরে শুতে যেতে বল্লেন ;– আমরা ঘব ছেড়ে চলে যাবাব আগে ব{ব মাকে আর গেব্ৰিয়েলকে খুব মেহের সঙ্গে আলিঙ্গন করেছিলেন, আর আমার হাতখানা খুব আদর কবে ধরে মিষ্টি স্বরে বল্লেন, এই প্যাকেটটা ওয়েষ্টকে দিও। আমি মিনতি কধে প্রার্থনা জানালুম যে সে রাত্তিরে আমি তার কাছেই থাকুব— আর যে বিপদ আসবে—তার অংশ ভাগ করে নেব।” কিন্তু এমন আগ্রহের সঙ্গে কাতর স্বরে বাবা বল্লেন “মরডণ্ট আমি যে কষ্ট পাচ্চি--তার উপর অবtধ্য হয়ে তুমি আমার আর বেশী যাতনা 'দিও না।”