পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 מלאכי তাঙ্গকে পাগল দেখিয়া পথ হইতে কুড়াইয়৷ অনিয়াছেন । তলে আমরা কি ভাপিয়া লই ল ঐ তিনজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর সহিত যে ইংৰাজ সন্ন্যাসী ভারতবর্ষে গিয়াছেন তিনি ক্ষম।প্রাপ্ত মেজর জেনাবল ঠিথাবষ্টন । || প্রতি শোণ নিতে র্তাব প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—কিন্তু অচিংসক ধৰ্ম্ম প্রাণ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা তাঙ্গাকে জীবনে মৃত্যুদণ্ড দিয়া ঐ শবীরেই পুনর্জন্ম প্রদান কবিয়াছেন । এবং সম্ভবতঃ হিথারষ্টণ যে মহান কহিলেন, গুরু হত্যাব শক্তি দেখিয়াছেন জগতেব নশ্ববতাময় ভোগৈ শ্বর্য্য ছাড়িয়া সেই উহাদেবই আশ্রয়

শক্তব সাধন}ব জন্তা কথাটা এল}ব আর মবডণ্ট, গেব্রিয়েলকে লুকাইতে পারিলাম না । হায় ! যদি মিসেস হিথবষ্টন শুনিয়া যাইতেন । তিনি স্বামীর চলিয়া যাইবার অল্পদিন পবেই লোকান্তর গমন করিয়াছিলেন। প্রাচ্য দৈব শক্তির সম্বন্ধে এখনও যথেষ্ট মতভেদ আছে । কিন্তু অ’মি ফদাবজিল ওয়েষ্ট নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা হইতে বলিতেছি যে বিজ্ঞান এখানে ভ্রান্ত । বিজ্ঞান কি ? কতকগুলি বৈজ্ঞানিকে ব মতের সমষ্টি ভিন্ন অন্ত কিছু কি ? ইতিহাস প্রমাণ লইয়াছেন ।” ভারতী চৈত্র, ১৩২• করিতেছে যে অনেক সত্যকে প্রতিষ্ঠা করিতে বিজ্ঞান অদ্যায়রূপে কালক্ষেপ করিয়াছেম । যেমন নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সম্বন্ধে, বিজ্ঞান বিশ বৎসবকাল অবিশ্বাসে হাসি তামাসা করিয়া আসিয়াছে । অঙ্ক শাস্ত্রের সাহায্যে বিজ্ঞান প্রমাণ দিয়াছে, লোহার জাহাজ জলে ভাসিতে পারে না, বিজ্ঞান ইহাও প্রচার করিয়াছিল যে বাষ্পীয় পোতের সাহায্যে আটল্যান্টিক মহাসাগর পার হওয়া অসম্ভব । বিজ্ঞানবিদেরা যদি নিজেদের ভ্রান্ত মতকেই অভ্রান্ত বলিয়া ধরিয়া না রাখিয়া জানিতে চেষ্টা কবেন তাহা হইলে জানিতে পাবিবেন যে, প্রাচ্য জগতেব অক্ষয় ভাণ্ডারে বুধমণ্ডলীব জ্ঞানের ক্ষুধ মিটাইবার কত বিচিত্র উপকৰণ পড়িয়া রহিয়াছে। দার্শনিক শ্রেষ্ঠ এমাসন বলিয়াছেন “ইয়োরোপ উচ্চতর ধৰ্ম্মভাবের জন্ত চিরদিনই প্রাচ্য প্রতিভার নিকট ঋণী”। প্রাচ্য জগতে এখনও এমন সব দার্শনিক ও মহাপণ্ডিত আছেন— র্যাহাদের জ্ঞানের, শক্তির, ধৰ্ম্মের নিকটে দাড়াইবার যোগ্য হইতে আমাদের হাজার হাজার বৎসর সাধনার আবশুক । ( সমাপ্ত ) শ্ৰইন্দিরা দেবী । অভিজ্ঞান জানি আমি, জানি আমি, কহিও না কিছু, বিশ্বের হৃদয় লগ্ন আমার হৃদয় । যা কিছু দুল্লভ ব্যথা বাজে তব বুকে সকলি পলকে আমি করি বিনিময়, সৰ্ব্বস্ব প্রতিভূ দিয়া । তা’ তুমি জান না ! অনন্ত হৃদয়ে মোর ঘিরেছি তোমারে স্বগোপনে সঙ্গোপনে ; আনন্দ-পুলক ফুটে যাহা তব বুকে দীর্ণ শতধারে সহস্র রোমাঞ্চ মুখে উঠে শিহরিয়া আমার হৃদয়পদ্ম পলে কাপাইয়া ! বলিও না কিছু অার! আমি অন্তৰ্য্যামী ; আছি দেবালয়ে তব দিবস যামিনী ! মোর পুজাবেদীমূলে তুমি চিরন্তন, রহিয়াছ সুকুমার স্বর্ণপদ্ম সম । শ্ৰীগঙ্গাচরণ দ্বাসগুপ্ত ।