পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ፩ 8 র্তার উদার প্রসন্ন নিৰ্ভীক চিত্ত ; সাহিত্য ক্ষেত্রে যেমন র্তার প্রতিভা, কৰ্ম্মক্ষেত্রে ও তেম্নি তার অক্লাস্ত উদ্যম। সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক অধ্যাপকেব সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে কৰ্ম্মশ্রেষ্ঠ, সাহিত্যিক বর্ণাড শ যা বলেছিলেন, সেই কথা ওঠে । ( চাব নাম Professor ইনি সম্প্রতি কিছুদিন হ’ল এখানে এসেছিলেন । ) সে কথা ক’টি উদ্ধত কবে প্রবন্ধটি শেষ কবব :– “I want to be thoroughly used Henderson up when I die, for the harder l work, the more I live. I rejoice in life for its own sake. Life is no “brics Candle' for me. It is a sort of ভাবতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ splendid torch, which I have got hold of for the moment ; and I want to make it burn as brightly as possible before handing it on to ভাবার্থ এই ঃ-- মৃত্যুব পূৰ্ব্বে আমি জীবনের সমস্ত শক্তিকে নিঃশেষে কৰ্ম্ম দেবতাব পূজায় উংসর্গ কবতে চাই । আমি জীবনের মাঝেই আনন্দের উৎসব পেয়েছি। জীবনটাকে আমি নিৰ্ব্বাণোন্মুখ একটি প্রদীপ মনে মনে কবি না--এ যে অপূৰ্ব্ব উজ্জ্বল আলোক শলাক ! ভবিষ্যৎবংশের হাতে এ আলোক শলাকা তুলে দেবাব পূৰ্ব্বে যেন এব আলো| স্নান না হয় । শ্ৰীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। future generations.” চুড়িওয়াল ( গল্প ) “বেলোয়াবী চুড়ি চাইয়ে, কাচেব পুতুল পেলেন চাইয়ে, গেলাস বাটি ফুলদান চাইয়ে ।” - দুপুর বেলা যখন বোদ বা বা করিতেছে, গলির পথে লোক চলিতেছে না, ঘরে ঘবে গৃহিণীর কাজকৰ্ম্ম সারিয়া নিশ্চিন্ত হইয় একটু গা গড় দিতেছেন, তখন নিজের পসব মাথায় করিয়া পথে পথে চুড়িওয়ালা হাকিয়া ফিরিতেছিল—“বেলোয়াবী চুড়ি চাইয়ে, কঁচের পুতুল খেলেন চাইয়ে, গেলাস বাটি ফুলদান চাই য়ে !” গলির ধারের একটি জানলা অল্প একটু খুলিয়া একটি কিশোরী মেয়ে ডাকিল— “অ চুড়িওলা, চুড়িওলা ! এই বাড়ীতে এস।” চুড়িওয়াল ফিরিয়া দুই হাতে মাথার ঝুড়ি উচু করিয়া তুলিয়া ধবিয়া উপরে তাকাইয়৷ জিজ্ঞাসা করিল— “কনে, কেড ডাকছ গো ?” কিশোরী বলিল—“এই যে বাড়ীতে।” চুড়িওয়াল দেখিল একটি তন্ত্ৰী সুন্দরী কিশোরী একখানি চৌড় লাল পেড়ে শাড়ীতে মাথায় অধিঘোমটা দিয়া দাড়াইয়া আছে— শাড়ীব চৌড় লাল পাড়টি মাথার মাঝখানে সিদহের মতো টকটক কবিয়া যেন এই